শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাতাস করান শিক্ষিকা, বিছানা পেতে ক্লাসেই ঘুমান

বালিশ পেতে ক্লাসেই ঘুমাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক
বালিশ পেতে ক্লাসেই ঘুমাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক  © ফাইল ছবি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষিকা বিদ্যালয় চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাতপাখায় বাতাস করিয়ে নেন। ক্লাসরুমেই বিছানা পেতে ঘুমান তিনি। ওই শিক্ষিকার এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ছবিতে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক লিখছেন এবং শিক্ষার্থীরা তাকে হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করছে। এছাড়াও, ক্লাসরুমেই তিনি বালিশ দিয়ে ঘুমাচ্ছেন এবং পাশেই স্মার্টফোনে এক শিশু গেম খেলছে।

জানা যায়, ওই শিক্ষিকার নাম পেয়ারী বেগম। কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি।

আরো পড়ুনঃ ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনে অভিযুক্তরা বহিষ্কার

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পেয়ারী বেগম প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতপাখা ধরিয়ে দেন ও পালাক্রমে তাদের দিয়ে বাতাস করিয়ে নেন বলে অভিযোগ অভিভাবক ও এলাকাবাসীর। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমান। এ নিয়ে কথা বলায় ওই স্কুলের পিয়ন মিনারুল ইসলামকে তিনি মামলার ভয় দেখিয়েছেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগম বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও পিয়ন মিনারুল মিলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওইদিন আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, এটাই সত্যি।’

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ বসে আলোচনা সাপেক্ষে ওই শিক্ষিকাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম। তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকিটা দেখবেন।

এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

বাড়ির কাজ স্কুলে করার কোনো বিধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোরও কোনো নিয়ম নেই। আমরা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ