ব্যারিস্টার ফুয়াদের ‘বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি ভুয়া
রাব্বানীর অভিযোগ উড়িয়ে প্রমাণ দিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ PM , আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ PM

বিশ্বে সম্মানজনক পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম আইন পেশা। বাংলাদেশে যারা এই পেশায় নিয়োজিত তাদের বলা হয় এ্যাডভোকেট বা উকিল। আমেরিকায় আইনজীবীকে বলা হয় এ্যাটর্নি। তেমনি অস্ট্রেলিয়ায় আইনজীবীকে বলা হয় ব্যারিস্টার। এভাবে বিভিন্ন দেশে আইনজীবীকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। ‘ব্যারিস্টার অ্যাট ল’র সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘বার অ্যাট ল’। এই কোর্সটি ইংল্যান্ডের চারটি ইনসের (লিংকনস্ ইন, গ্রেইসইন, ইনার টেম্পল ও মিডল টেম্পল) যেকোনো একটি থেকে করতে হয়।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের এই ‘বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি ভুয়া উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ৫ আগস্টের পর ভারতে পালিয়ে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসে এই ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মিডল টেম্পলকে পাঠানো একটি ই-মেইলও যুক্ত করা হয়েছে। তবে রাব্বানীর এই অভিযোগ উড়িয়ে প্রমাণ দিয়ে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাস দিয়েছন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
স্ট্যাটাসে তিনি বলছেন, এটা আমি পজিটিভ হিসেবে দেখছি। ফুয়াদকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ আছে এবং সবশেষে যখন প্রমাণিত হবে যে ফুয়াদের (আসল নাম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া) বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার হয়েছে। তখন তার পজিশন আরও হাই হবে ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের এই ‘বার এ্যাট ল’ ডিগ্রির বিষয়ে জানতে মিডল টেম্পলকে একটি ই-মেইল করেন। সেখানে ব্যারিস্টার ফুয়াদের পরিচয় ‘আসাদুজ্জামান ফুয়াদ’ অথবা ‘ফুয়াদ আবদুল্লাহ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিউত্তরে মিডল টেম্পল জানায়, ‘আসাদুজ্জামান ফুয়াদ’ অথবা ‘ফুয়াদ আবদুল্লাহ’ নামে কোনো রেকর্ড তাদের কাছে নেই।
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ফুয়াদ ব্যারিস্টারি পাশ করার পর এক যুগেরও বেশি সময় ইউকেতে মেইনস্ট্রিম ‘ল’ প্র্যাক্টিস করেছে। এটার প্রতিবাদ বা প্রমাণ তার সহপাঠী বন্ধুরাই দিবে। আমরা এটার জবাব দেয়ার দরকার মনে করছি না।
স্ট্যাটাসে তিনি ‘সোসাইটি অব মিডল টেম্পলের’ একটি ই-মেইলও সংযুক্ত করেছেন। ‘সোসাইটি অব মিডল টেম্পলের’ সেই ই-মেইলে বলা হয়, ২০০৮ সালে ২৯ অক্টোবর ফুয়াদ (আসল নাম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া) প্রতিষ্ঠানটিতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
তবে ব্যারিস্টার ফুয়াদের আসল নামম (সার্টিফিকেট নাম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া কিনা তা যাচাই করতে পারেনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।