কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের দিন উধাও ‘অধ্যাপক’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৭ AM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৭ AM
সবকিছু ঠিকঠাক। চারিদিকে বাজছে বিয়ের সানাই। তবে খোঁজ মিলছে না বরের। অনেক খুজেও বরকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ের দিন থানার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কনের পরিবার। পরে জানা যায় নিখোঁজ নন; বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনের কাছ থেকে ৬ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়েছেন বর।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহর এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুমন মজুমদার।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আগুন, ৪ কক্ষ পুড়ে ছাই
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পত্রিকায় ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন নারী স্বাস্থ্যকর্মী পুজা সেনের পরিবার। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর মেয়ে পুজা। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই পুজার সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় সুমন মজুমদারের। মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লি বাসিন্দা সুমন জানিয়েছিলেন, তিনি রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যাপক। দুজনেরই দুজনকে পছন্দ হয়েছিল। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। যদিও পুজার বাবার দাবি, সুমন বাইরেই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেন। বারবার বলা সত্ত্বেও বাড়িতে আসতেন না।
পুজার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কথা উঠলেই এড়িয়ে যেতেন সুমন। নানা অছিলায় বিয়ের দিন পিছিয়ে দিতে শুরু করেন তিনি। অথচ বিয়ের খরচের নাম করে পুজার থেকে ক্রমাগত রুপি নিচ্ছিলেন সুমন। হবু কনের পরিবারের দাবি, ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার রুপি নেন সুমন। বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিয়ের দিন ঠিক হয় ২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তারপর থেকে সুমনের সঙ্গে ফোনে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। বিয়ের দিন সকালেও হবু বরের খোঁজ না পেয়ে বাবা-মাকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে মালদহে চলে আসেন পুজা। শুরু হয় সুমনের খোঁজ। কিন্তু সেই খোঁজ মেলেনি। শেষপর্যন্ত ইংরেজবাজার থানায় এসে ‘প্রতারক’ সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটিতে বিতর্কিতরা
মেয়ের পরিবারের দাবি, “বিয়ের খরচের নাম করে মেয়ের থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার রুপি নিয়েছিল সুমন মজুমদার। পত্রিকায় ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপনের সূত্র দিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর মেয়ের সঙ্গে কথা বলত, দেখা করত। বারবার বললেও বাড়ি আসত না।” এবার তার খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পুজা ও তার পরিবার।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন