যুক্তরাষ্ট্রে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। এখনো শতাধিক লোক নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজতে কাজ করছে উদ্ধার কর্মীরা। কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে দেশটির শুধু কেনটাকি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য।
আরও পড়ুন: সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ল ৪৩ উট!
শুক্রবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে। এটিই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করেছেন বেশিয়ার।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে শুক্রবার মধ্যরাতের আগেই রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ৭ শিক্ষিকা, স্কুল বন্ধ
গভর্নর বেশিয়ার আরও বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানা বিধ্বস্ত হয়। এতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারীরা ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। সেখানে আরও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
বেসিয়ার বলেন, ১৮৯ জন ন্যাশনাল গার্ড কর্মীকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার প্রচেষ্টা বৃহত্তর অংশে মেফিল্ডে ফোকাস করবে, রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে প্রায় ১০ হাজার লোকের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের চাকরি হারিয়ে হাদিয়া এখন মুচি
এছাড়া আরকানসাসের গভর্নর জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, ইলিনয় রাজ্যে মারা গেছেন ছয়জন ও মিসৌরিতে দুইজন।
দেশটি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের আকাশ পরিষ্কার ছিল, ঝড়ের পরে হাজার হাজার বাসিন্দার বিদ্যুৎ ও জলের অভাব দেখা দিয়েছে। পাওয়ার আউটেজ ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট পাওয়ার আউটেজ ডট ইউএস অনুসারে শনিবার বিকেল পর্যন্ত, কেনটাকিতে প্রায় ৯৯,০০০ গ্রাহক এবং টেনেসিতে ৭১ হাজারের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিলো।
কেন্টাকি কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের রাস্তায় বের হতে নিষেদ্ধ করেছে। উদ্ধার কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করছে। সূত্র: রয়টার্স