কাবা শরিফের আদলে নির্মাণ হতে পারে অযোধ্যার মসজিদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০৯ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০৯ PM
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায় দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মসজিদ নির্মাণের জন্যও এই অযোধ্যাতেই পাঁচ একর জমি দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই অযোধ্যার ধান্নিপুরে ৫ একর জমি দেওয়া হয় মসজিদের জন্যে।
জানা গেছে, সে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মক্কার বিখ্যাত কাবা মসজিদের আদলেই তৈরি হতে পারে এই মসজিদ। মাস খানের আগে মসজিদ নির্মাণের ট্রাস্টও ঘোষণা করা হয়। ‘ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন’ নামের ওই ট্রাস্টের আওতায় শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।
ট্রাস্টের সম্পাদক তথা মুখপাত্র আতহার হুসেন বলেন, “১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠবে এই মসজিদ। বাবরি মসজিদের আয়তনও এমনটাই ছিল। তবে বাবরির থেকে একেবারে আলাদা আদলে তৈরি হবে মসজিদটি। স্থপতি এসএম আখতার জানিয়েছেন, এটা কাবা মসজিদেরর মতো চৌকো গড়নের হতে পারে।”
তবে ট্রাস্টের পক্ষে জানানো হয়েছে, এখনও সবটাই আলোচনার স্তরে আছে। কাবার মসজিদে যেমন কোনও গোল মাথা বা গম্বুজ নেই, তেমনই হতে পারে অযোধ্যার মসজিদও। এ বিষয়ে স্থপতিবিদকেই সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আতহার হুসেন।
তিনি বলেন, “এই মসজিদটি বাবরির নামে হবে না। এটা অন্য কোনও রাজা-মহারাজের নামেও হবে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই, একে ধান্নিপুরের মসজিদ বলেই চিনুক সকলে।”
আতহার হুসেন জানিয়েছেন, ট্রাস্টের তরফে একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। তার মাধ্যমে মসজিদ ও মিউজিয়ামের জন্য অর্থ দান করতে পারেন সকলে। মসজিদ চত্বরের ভিতরে হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারও হবে। তাতেও অনেক অর্থের প্রয়োজন। ওই পোর্টালে দেশ-বিদেশের ইসলামিক স্কলারদের বিভিন্ন লেখা রয়েছে। এখনও পোর্টালটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আত্মপ্রকাশ করেনি। হলে তবেই অনুদান গ্রহণ করা শুরু করা যাবে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের আক্রমণে ভেঙেছিল বাবরি মসজিদ। তাদের দাবি ছিল, ওই জায়গায় আসলে প্রাচীন রামমন্দির ছিল, যার উপর মসজিদ গড়ে উঠেছে।
এর পরে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলার পরে, বহু গবেষণা, সওয়াল, মতামতের পরে গত বছরের নভেম্বর মাসে বিতর্কের অবসান ঘটে। বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির গড়ার পক্ষেই রায় দেন পিচারপতি। মসজিদ গড়ার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে আলাদা করে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশে। সেখানেই এবার গড়ে উঠতে চলেছে ‘কাবা’র আদলে ধান্নিপুরের মসজিদ।