যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যাকে পেলেন ট্রাম্প
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ AM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ AM

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি হলো দেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের একটি মূল বিষয়। বলা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বদল হলেও পররাষ্ট্রনীতি বদলায় না। তাই প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট বিদেশ সামলানোর দায়িত্ব দেন যিনি মিত্রদের সঙ্গে মিলে নিজ দেশের স্বার্থকে সবার আগে দেখেন এবং ভূরাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা শত্রু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কট্টর মনোভাবাপন্ন হন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মার্কো রুবিও। সিনেটে সর্বসম্মতভাবে ৯৯-০ ভোট পেয়ে এ পদের জন্য নির্বাচিত হন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কট্টর চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত মার্কো রুবিও। সেই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলেরও ঘোর সমর্থক।
সোমবারের (২০ জানুয়ারি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতায় বসলেন তিনি।
শপথ অনুষ্ঠানের আগেই ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবার শপথের দিনই মার্কো রুবিওর মনোনয়নে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সিনেট।
সাংবাদিকদের মার্কো রুবিও জানান, এই পদের জন্য নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চিত খবরটি পেয়ে তিনি ‘ভালো’ অনুভব করছেন। তিনি বলেছেন, এটি তার জন্য ‘বিশাল সম্মানের’ বিষয়। মার্কো রুবিও এই ট্রাম্প প্রশাসনের মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর। ফ্লোরিডাতেই জন্ম রুবিওর। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর রুবিওই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে লাতিনো বংশোদ্ভূত প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে মার্কো রুবিও সম্পর্কে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কো অনেক মর্যাদাপূর্ণ একজন নেতা। তিনি স্বাধীনতার জন্য অনেক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতির জন্য একজন শক্তিশালী সহযোগী হবেন এবং আমাদের মিত্রদের জন্য একজন ভালো বন্ধু হবেন।
রুবিও রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে শক্তি ব্যবহারের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অতীতে তিনি চীন, ইরান ও কিউবার মতো যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ক্ষেত্রে শক্তিনির্ভর পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে ওকালতি করেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নিজের অবস্থান অনেকটা নমনীয় করে তোলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে যাওয়া রুবিও।
তবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর রুবিওকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কারণ, ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, সে সময়ের চেয়ে বর্তমান বিশ্ব আরও বেশি অস্থির ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চীন।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার জন্য যে ৯৫ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পাস হয়েছে, তার বিরোধিতাকারী ১৫ রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন রুবিও।