শপথ শেষে পানামা খাল দখলসহ আরও যা করার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৭ AM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৩ AM

দ্বিতীয় মেয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণ শেষে দেওয়া দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি একের পর এক চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো পানামা খাল পুনরুদ্ধারের ঘোষণা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং মেক্সিকান মাদক চক্রকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে তার পরিকল্পনায়।
শপথ গ্রহণের পর দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, "পানামা খালে আমেরিকান জাহাজের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের জাহাজকে ভালো সেবা দেওয়া হচ্ছে না। আমরা পানামা খাল ফিরিয়ে নিচ্ছি।" তিনি দাবি করেন, খালটি নির্মাণের সময় ৩৮ হাজার আমেরিকান প্রাণ হারিয়েছেন, এবং বর্তমানে এটি চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে ট্রাম্পের এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। তারা জানায়, পানামা খাল নির্মাণের সময় প্রকৃতপক্ষে ৫ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "অবৈধ অভিবাসী এবং হাজার হাজার অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।" পাশাপাশি, তার আলোচিত ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতি আবারও কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ নীতি অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে থাকতে হবে।
ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন, মেক্সিকান মাদক গ্যাংগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে আরও বলেন, মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে 'আমেরিকান উপসাগর' করা হবে। পাশাপাশি, তিনি জাতীয় জ্বালানি শক্তি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যার আওতায় দেশজুড়ে জ্বালানি ও মূল্যবান খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান ও খনন কার্যক্রম বাড়ানো হবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত নীতিতেও পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তার প্রশাসন জনগণকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করার বর্তমান নীতি বাতিল করবে বলে জানান তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্পের এসব ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে পানামা খাল দখলের ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।