সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ বানাচ্ছে চীন, প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ ও ভারতে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ PM

চীন বেশ আগেই সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে অবস্থিত তিব্বতে এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণ হওয়ার পর বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎকেন্দ্র মধ্য চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে সেখানে তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। কিন্তু দেশটির এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বত মালভূমির পূর্ব প্রান্তে চীনের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এটি। এরই মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর কারণে ভারত এবং বাংলাদেশের ভাটি এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
২০২০ সালে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়নার দেওয়া হিসাব অনুসারে, বাঁধটি ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে নির্মাণ করা হবে। এটি থেকে বছরে ৩০০ বিলিয়ন (৩০ হাজার কোটি) কিলোওয়াট–ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
বুধবার চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে, প্রকৌশল শিল্পগুলোকে চাঙা করতে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চীনা কর্মকর্তাদের মতে, তিব্বত অঞ্চলের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি পরিবেশের ওপর কিংবা নিম্নভাগে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর খুব বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ইয়ারংলু সাংপো নদীটি হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। তাই বাঁধটি চীনের জন্য ইতিবাচক হলেও ভারত ও বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক হতে পারে।
এই কারণে দিল্লি ও ঢাকা এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি।