ডিজিটাল বিপ্লবের সুবিধা নিয়ে তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর আহবান ইউনূসের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ AM , আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ AM
ডিজিটাল বিপ্লবের পুরো সুবিধা নিয়ে তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার মিশরের কায়রোতে ডি-এইট শীর্ষ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন যেহেতু এআই সুলভ হয়েছে, তাই আসুন আমরা আমাদের উদ্যোক্তা ছেলে-মেয়েদের সুবিধার জন্য এক্ষেত্রে বাধাগুলো মোকাবিলা করতে পারি কি না, তা ভেবে দেখি। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে, আমি আমাদের বিবেচনার জন্য দুটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রস্তাব করতে চাই।’
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডি-৮ নেতারা এমন এক সময়ে মিলিত হয়েছেন যখন বিশ্ব অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ প্রত্যক্ষ করছে, যখন অনেক সুযোগ তাদের ইঙ্গিত করছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, যুব এবং এসএমইকে কেন্দ্র করে সামিটের থিম আমাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যথাযথভাবে অনুরণিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে কার্যকর সংযোগ তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে ফলিত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে জোর দিতে হবে। তাদের লক্ষ্য হতে হবে এই শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞানের ডি-৮ দেশগুলোর নেতাদের বৈশ্বিক ব্যবসা ও শিল্পের তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারের টিকে থাকা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।
তিনি আরও বলেন, ডি-এইট সদস্য দেশগুলোকে উদ্যোক্তা ও উচ্চ শিক্ষার মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। এতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সহজ হবে। এজন্য প্রয়োজনে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার ওপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘যদি এতে ডি-৮ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে বলে, তবে আমাদের তা-ই করা উচিত। ব্যবসাকে শুধু সম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যম হিসেবে না দেখে এটি যেন মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সেভাবে রূপান্তরিত করতে হবে। তারা একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে সামাজিক ব্যবসায় সম্পৃক্ত হবেন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যুব উদ্যোক্তাদের বিশ্বের মতই ‘কাজের বিশ্ব’ও যেভাবে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, ডি-৮ দেশগুলোকে তাদের ছেলে-মেয়েদের অর্থনীতির নেতা হওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে নতুন ধরনের ‘শিক্ষা’ উদ্ভাবন করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশগুলোতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে- যাদের সাধারণত কম দক্ষতা রয়েছে তবে আগামীতে উৎপাদন এবং পরিষেবা অর্থনীতি দ্রুত রূপান্তরিত হচ্ছে, যা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডেটা-চালিত সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির ওপর নির্ভর করে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, গ্রামীণ বাংলাদেশে ভ্রমণ, এমনকি এশিয়া, আফ্রিকা এবং আরব বিশ্ব জুড়ে, তিনি দেখেছেন কিভাবে আজকের লাখ লাখ তরুণ চারপাশের সবকিছুতে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে দ্রুত গ্রহণ করছে, যা দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে অথবা নতুন নতুন সুযোগ খুঁজে বের করছে। কয়েক বছর আগেও যা অনেকে অসম্ভব ভেবেছিলেন।