এমবিবিএস ডিগ্রি মিলত ৭০ হাজারে, অষ্টম শ্রেণি পাসেও ডাক্তার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ AM , আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ AM
অষ্টম শ্রেণি পাস না করেও হওয়া যায় ডাক্তার। শুধু লাগবে ৭০ হাজার রুপি। সম্প্রতি এমনই এক গ্যাংয়ের খোঁজ পাওয়া গেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে। তারা অর্থের বিনিময়ে প্রদান করত মেডিকেল ডিগ্রি।
এই গ্যাংটি প্রায় ১২০০ ভুয়া মেডিকেল ডিগ্রি প্রদান করেছে। যা প্রকাশ্যে আসার পর গুজরাটসহ ভারতজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অর্থের বিনিময়ে বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের ডিগ্রি দিতো এই গ্যাং। তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়া সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ ভুয়া চিকিৎসককে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই এমনই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি সংবাদমাধ্যম বলা হয়, গুজরাটের সুরাটে ভুয়া মেডিকেল ডিগ্রির চক্রের খোঁজ মিলেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডেটাবেসে ১২০০ ভুয়া ডিগ্রির হদিস মিলেছে। সেই তথ্যসূত্র ধরেই ১৪ জন ভুয়া চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সকলেই ওই গ্যাংয়ের কাছ থেকে ভুয়া ডিগ্রি কিনেছিল এবং সেই ডিগ্রি দেখিয়েই চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিল। গোটা ঘটনার মূল অভিযুক্ত ড. রমেশ গুজরাটিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু চিকিৎসক ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন বলে তাদের কাছে খবর আসে। পরে রাজস্ব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ হানা দেয় শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে। সেখানেই ভুয়া এসব ডাক্তারদের হদিস মেলে। পরে তাদের ডিগ্রি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বিইএইচএম’র কথা জানায়। কিন্তু পুলিশ জানায়, গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় না। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা সত্য প্রমাণের চেষ্টা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান হোতা যখন জানতে পারে ইলেকট্র হোমোপ্যাথি থেকে কোনো সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। তখন সে এ বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের জন্য একটি বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা করে। এজন্য সে পাঁচজনকে ইলেকট্র-হোমোপ্যাথি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। তারা তিন বছরের কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে। এতে ইলেকট্র হোমোপ্যাথি মেডিসিল কীভাবে লিখতে হবে তা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।