ভারতীয় মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: মাহফুজ আলম

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মাহফুজ আলম
সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মাহফুজ আলম  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে ছড়ানো প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, `ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন। বিদেশি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা সম্প্রীতির মাধ্যমে জয়ী হব।

মাহফুজ আলম ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট ছিলেন ও গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত হয়ে পালিয়েছেন, ভারতকে আগে এই স্বীকৃতি দিতে হবে। শেখ হাসিনার গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার পরই ভারত সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে।’

আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈপরীত্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ’

বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ আলোচনা হয়েছে। আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্রদের সাথে আরও আলোচনা হবে। জাতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আর আজকে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘সাধারণত যেটা হয় কমিউনিটি লিডারদের ডাকা হয়। আজকে আমরা চেষ্টা করেছি ধর্মীয় নেতাদের ডাকতে। আমরা তাদের থেকে শুনতে চেয়েছি। একটি মেসেজ দিতে চেয়েছি, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত দিক থেকে এক আছে। এই সরকার যে কোনো মূল্যে সব ষড়যন্ত্র রুখতে প্রো–অ্যাকটিভ হয়ে কাজ করে। কোনো প্রতিক্রিয়াশীল কাজ এই সরকার করবে না। হঠকারিতাকে আশ্রয় দেবে না। বরং যত বেশি ন্যাশনাল কনসেনসাস তৈরি করা যায়, আমরা সেদিকে এগোব। আমাদের অন্তর্গত শক্তি বৃদ্ধি করব। বাহিরে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি রাজনৈতিকভাবে, সম্প্রদায়গত দিক থেকে, তাহলে অপপ্রচার মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু

দেশের কোথাও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হলে তা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। মাহফুজ বলেন, ‘কোথাও যদি নিপীড়ন হয়ে থাকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর। আমরা বলি না নিপীড়ন হয় না। অল আউট কথা বলা অসত্য। যদি হয়ে থাকে এর বিপরীতে সরকারের প্রচেষ্টাকেও আপনারা প্রচার করবেন। সুনামগঞ্জে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ব্যবস্থাটাও আপনারা বলবেন যাতে সংখ্যালঘু ভাই–বোনরা আস্থা পায়।’ 

মাহফুজ বলেন, ‘সম্প্রীতি তো দরকার, কিন্তু এর সাথে ভয় যেন জড়িয়ে না যায়। নাগরিকরা যাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে। মেলবন্ধন স্বাভাবিক হয় যেন। ইনহ্যারেন্ট (সহজাত) সম্প্রীতিটা যেন বজায় থাকে। বাংলাদেশ যে পথে রওনা হয়েছে আমরা যেন সে পথে অনেকদূর যেতে পারি। আমরা সমর্থন চেয়েছি, ওনারা আকুণ্ঠচিত্তে দিয়েছেন। মিডিয়াকর্মী যারা আছেন, ফ্যাক্ট চেক করে, তৃণমূলে কিছু হলে তুলে ধরেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’ 


সর্বশেষ সংবাদ