পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যে হুঁশিয়ারি দিল ইরান
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ PM , আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ PM
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইলে তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা শুরু করবে। ইরানের ৬০ শতাংশের চেয়ে বেশি পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ইচ্ছা নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই যে, এই সমস্যার মর্যাদাপূর্ণ সমাধানে আসার জন্য আমরা সহযোগিতার পথ বেছে নিয়েছি।’
তবে পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো ইরানের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের মতে, পারমাণবিক বোমা তৈরি করা ছাড়া কোনো দেশ এ মানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে না। কারণ, ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধতার মানটি অস্ত্র তৈরির মানের খুব কাছাকাছি। অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ পরিশুদ্ধতা প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: বাশার বাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে নিহত ২০০
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পারমাণবিক অস্ত্র রাখার বিরুদ্ধে ফতোয়া কেবল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বাতিল করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পারমাণবিক অস্ত্রের কোনো স্থান নেই।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হওয়ার পর দেশটির পরমাণু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়েছিল । কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে এর কার্যকারিতা কমে যায়।
এর পর থেকে ইরানের পরমাণু সংক্রান্ত কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরানকে চুক্তিতে ফেরাতে আবারও আলোচনা শুরু করে। তবে তা ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল ভারত
এদিকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কেন্দ্রগুলোয় আরও ছয় হাজারের বেশি পারমাণবিক সেন্ট্রিফিউজ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ইরান। উৎপাদনসক্ষমতা বাড়ানোর মানে হলো ইরান আরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে। এতে পারমাণবিক বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে ইরানের।