হাতের মেহেদীর রং শুকানোর আগেই লাশ নববধূ মুক্তা

নববধূ মুক্তা আক্তার
নববধূ মুক্তা আক্তার  © সংগৃহীত

পারিবারিকভাবে ১৭ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল মুক্তা আক্তারের। হাতের মেহেদির রং এখনও শুকায়নি। এরই মধ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী মোহাম্মদ রানা তাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের। রবিবার (৫ জানুয়ারি) নীলফামারীর সৈয়দপুরের কাজীহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় মুক্তার স্বামী রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ মুক্তা উপজেলার কুন্দল এলাকার নান্নু মিয়ার মেয়ে। স্থানীয় বিউটি পার্লারের কর্মী ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী রানা কাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা। 

পুলিশ ও নববধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে মুক্তাকে বিয়ে করেন রানা। পরে এ তথ্য জানতে পারেন মুক্তা। তখন থেকেই তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। রবিবার সকালের কোনো একসময় শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেন তিনি। 

রানার বাড়িতে হইচই শুনে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে সেখানে গিয়ে নববধূর লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার ও রানাকে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

মুক্তার মা জাহেদা বেগমের ভাষ্য, রানা মাদকসেবী এবং তাঁর আগের সংসার থাকলেও তিনি জানতেন না। বিয়ের পরের দিন তাঁর মেয়ে এসব জানায়। মেয়েকে তালাক দিয়ে চলে আসতে বললেও সে সংসার করতে চেয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে যৌতুক দাবি করেন রানা। 

এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় রানা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মুক্তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে মুক্তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুক্তার ভাই সাইদুল ইসলাম বলেন, কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় নববধূর ভাই বাদী হয়ে তাঁর স্বামীসহ পরিবারের চার সদস্যকে আসামি করে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ