ইউক্রেন ইস্যুতে বিপৎসীমা অতিক্রম না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ AM , আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ AM
ইউক্রেন ইস্যুতে রেড লাইন বা বিপৎসীমা অতিক্রম না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হতে পারে—এমন সম্ভাবনার আলোকেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সের্গেই লাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক প্রতিরোধের (ডিটারেন্স) বোধ হারিয়ে ফেলছে যা স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় রেখেছিল, এটি বিপজ্জনক।
রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জেএএসএসএম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ পেতে একটি চুক্তির কাছাকাছি। এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অনেক গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম। লাভরভ বলেন, এমনটা হলে আমি কোনোভাবেই অবাক হব না। আমেরিকানরা এরই মধ্যে নিজেদের জন্য নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। তাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্যই এটি দেখেন ও এর সদ্ব্যবহার করেন।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত—তারা এখানে আমাদের বিপৎসীমা নিয়ে রসিকতা করছে। আমাদের বিপৎসীমা নিয়ে তাদের রসিকতা করা উচিত নয়।
লাভরভ আরও বলেছেন, জন কারবি (মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র) বলেছেন–ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়ানোর বিষয়টিকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে উসকে দেওয়া না হয়। কারণ সংঘাত বা যুদ্ধ ইউরোপে পৌঁছে যাওয়াটা দেখা হবে দুঃখজনক।
লাভরভ বলেন, তিনি আশা করেন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাব্য পরিণতি উপলব্ধি করবে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে, সেখানে উল্লেখযোগ্য প্রভাবসম্পন্ন যুক্তিবোধ সম্পন্ন লোক রয়েছে। এবং আমি আশা করি, মার্কিন স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠিয়ে আগ্রাসন শুরুর পর এই যুদ্ধকে পশ্চিমের সঙ্গে পূর্বের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়াকে অপমানিত করা হয়েছে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, পুতিন সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূখণ্ড দখলে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা রাশিয়াকে পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। যদিও বর্তমানে অধিকৃত ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ ও পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ দখলে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া।
তবে রাশিয়া বলেছে, একসময় রুশ সাম্রাজ্যের অংশ থাকা এসব ভূখণ্ড এখন আবার রাশিয়ার অংশ হয়েছে এবং এগুলো আর কখনোই ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে না।