আল আকসাকে ঘিরে এবার ইসরাইলের নতুন ষড়যন্ত্র!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৩ AM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ AM
গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে এবার ইসরাইল পবিত্র আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে নতুন কৌশল করছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রশাসন আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্টে ইহুদিদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার সেই নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে যাচ্ছে।
বুধবার ইতামার বেন গাভির ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে বলেন, আমি গত সপ্তাহে টেম্পল মাউন্টে গিয়েছিলাম এবং আমরা সেখানে প্রার্থনা করছি। নেতানিয়াহু প্রশাসন ইহুদিদের টেম্পল মাউন্টে প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আল আকসায় প্রার্থনার বিষয়ে পূর্বের নিয়ম বহাল থাকবে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, বেন গাভিরের দাবি যদি সত্যি হয় তবে তা ইসরাইল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়াবে।
মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার আগে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, টেম্পল মাউন্টের স্থিতাবস্থা পরিবর্তিত হয়নি এবং হবেও না। জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল আল আকসা মসজিদে প্রবেশের বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা ভাঙার নতুন কৌশল নিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত বোমাবর্ষণের ফলে চার দিনে পৌনে দুই লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের আশপাশের এলাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোম থেকে বৃহস্পতিবার এই চার দিনে এসব ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাটি জানিয়েছে, চার দিনে মধ্য ও পূর্ব খান ইউনিস থেকে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া শত শত লোক পূর্ব খান ইউনিসে আটকা পড়েছেন।ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সোমবার দক্ষিণ খান ইউনিস শহরের কিছু অংশে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে। তারা ঘোষণা করেছে যে তারা সেখানে ‘জোরপূর্বক কাজ করবে’।