মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পর ফোন সাইকেল বিক্রি করে শিক্ষার্থীর কাণ্ড
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১১:২৭ AM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১১:৩১ AM
মেডিকেলে ভর্তির জন্য নিট পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। কোচিংও করছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৬ মে নিখোঁজ হন। অবশেষে তার খোঁজ মিলেছে। ভারতের গোয়ার একটি রেলস্টেশনে খোঁজ পাওয়া যায় তার। পকেটে ছিল ১১ হাজার টাকা। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী তরুণ এতদিন ছিলেন কোথায়?
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, প্রায় পুরো সময় ট্রেনেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে বিনা টিকিটে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ জন্য ওই ছাত্র তার বই, মোবাইল ফোন, দুটো সাইকেল বিক্রি করে দিয়েছেন। সেগুলো বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে তিনি ঘুরছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্র মেডিকেল পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এরপর রবীন্দ্র প্রসাদ মীনা নামে ওই ছাত্র পরিবারকে মেসেজ পাঠান। সেখানে লেখা ছিল, ৫ বছরের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গেলাম। সে সঙ্গে জানিয়ে দেন, আর পড়াশোনা করব না।
তিনি জানিয়েছিলেন, সঙ্গে ৮ হাজার টাকা আছে। বাকি টাকা লাগলে যোগাযোগ করব। এদিকে ছাত্রের পরিবারের দাবি, কোটা পুলিশ তাদের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
তার খোঁজে পরিবারের লোকজনই চারটি দল তৈরি করে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। যেদিন থেকে নিখোঁজ হয়েছিল, তারপর থেকে শুরু হয় খোঁজা। পরিবারের দাবি, নিট পরীক্ষায় ভালো করতে পারেননি তিনি। এরপর ৬ মে চলে যান পুনে।
সেখানে দুদিন ছিলেন। সেখানে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনেন ১৫শ টাকা দিয়ে। আধার কার্ড দেখিয়ে সিম নেন। এরপর অমৃতসর স্বর্ণ মন্দির দেখে সোজা জম্মু চলে যান। সেখান থেকে আগ্রা থেকে পুরীতে জগন্নাথ মন্দির দর্শন। এরপর রামেশ্বরম থেকে কন্যাকুমারী আর থিরুবনন্তপুরম। সেখান থেকে গোয়ায় গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পেছানোর সংবাদটি সঠিক নয়
মাদগাঁও স্টেশনে ট্রেনে উঠতে যাচ্ছিলেন। সে সময় বাবার সঙ্গে দেখা। তিনি এতদিন ধরে জেনারেলে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতেন। সব মিলিয়ে ৬ হাজার টাকা বাঁচিয়েও ফেলেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটির বাবার সঙ্গে পুলিশ ছিল। পরে তার বাবা ও অন্য এক আত্মীয় যায় গোয়াতে। বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ছেলের সম্পর্কে তারা জানতে পারেন। তার কাকা জানিয়েছে, মীনাকে প্রথমে চেনা যাচ্ছিল না। কিন্তু ডাকতেই সে সাড়া দেয়।