চলমান হামলার মধ্যেই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আবাসন প্রকল্প

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদের পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এর মধ্যেই পশ্চিম তীরে নতুন আবাসন প্রকল্প নির্মাণের পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরায়েল।

বুধবার পশ্চিম তীরের মালে অদুমিম, কেদার ও এফরাতে ৩ হাজার ৫০০ নতুন আবাসন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

বুধবার ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ সেখানকার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এই তিন এলাকায় মোট ১৮ হাজার ৫১৫টি আবাসন বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই ৩ হাজার ৫০০ ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে স্মোতরিচ বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের ক্ষতি করতে চাইছে। তারা ভাবছে আমরা দুর্বল হয়ে পড়েছি। কিন্তু আমরা দুর্বল হইনি এবং এই তিন এলাকায় আমরা আবাসন নির্মাণ করবোই।’

যে তিন এলাকায় আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে, ১৯৬৭ সালের সীমানা নির্ধারণ রেকর্ড অনুযায়ী এই এলাকাগুলো পশ্চিম তীরের ভূখণ্ড। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে তারপর থেকে বিগত কয়েক দশকে নিয়মিত সেই সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭২ হাজার ১৯৮ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩৯।


সর্বশেষ সংবাদ