শাহরুখ খানের মান্নাতের চারগুণ দাম যে বলিউড তারকার বাড়ি

‘পটৌডি প্যালেস’
‘পটৌডি প্যালেস’  © সংগৃহীত

বলিউড সুপারস্টার কিং খান খ্যাত শাহরুখ খানের বিলাসবহুল ফার্ম হাউস ‘মান্নাত’ নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেক। বহুল আলোচিত শাহরুখের এই বাড়ি প্রায়ই আলোচনায় থাকে। তাই এর দাম সম্পর্কে অনেকে অবগত। কিং খানের অনেক ভক্ত মনে করেন বলিউডের অভিনেতাদের বিলাসবহুল বাড়ির মধ্যে ‘মান্নাত’ সবচেয়ে ব্যয়বহুল। তবে এই ধারণা ভুল।

বলিউডের তারকাদের মধ্যে সব থেকে ব্যয়বহুল বাড়িতে বাস করেন সাইফ আলী খান। শুধু দামে নয় বরং বাড়ির আকার-আয়তনসহ অনেক দিক থেকেও অমিতাভ বচ্চনের ‘জলসা’ এবং শাহরুখের ‘মান্নাত’-এর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে সাইফের বাড়ি। 

বলিউড সূত্রে জানা গেছে, শাহরুখের ‘মান্নাত’-এর বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ কোটি রুপি এবং অমিতাভের ‘জলসা’র আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ থেকে ১২০ কোটি রুপি। তবে সাইফের বাড়ির মূল্য ‘পটৌডি প্যালেস’ শাহরুখের বাড়ির থেকে চারগুণ এবং অমিতাভের বাড়ির থেকে ছয় থেকে আটগুণ; যার আনুমানিক বাজার মূল্য দাঁড়ায় ৮০০ কোটিরও বেশি।

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নবাব ইফতিখার আলী খান পটৌডি বানিয়েছিলেন ‘পটৌডি প্যালেস’। ইফতিখার সম্পর্কে সইফের ঠাকুরদা হন সইফের ঠাকুরদা ছিলেন পটৌডির নবাব। ভোপালের এক বেগমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন বলে রবার্ট টোর রাসেল নামে এক বিদেশি স্থপতিকে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন ইফতিখার।

আরও পড়ুন: এআইকে কাজে লাগিয়ে শত কোটির প্রতিষ্ঠানের মালিক ১৬ বছরের কিশোরী

ইফতিখারের পর পটৌডি প্যালেসে থাকতে শুরু করেন সাইফের বাবা মনসুর আলী খান পটৌডি। তবে ১৭ বছরের জন্য পটৌডি প্যালেসকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে খ্যাতনামা একটি হোটেল সংস্থার মালিকের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করেন মনসুর। ২০১১ সালে মনসুরের মৃত্যুর পর পটৌডি প্যালেস ভাড়া দেওয়া হতো ওই হোটেল সংস্থাকে।

এরপর পটৌডি প্যালেস ফিরে পাওয়ার জন্য নিজের অধিকাংশ সঞ্চয় খরচ করে ফেলেছিলেন সাইফ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ছবিতে অভিনয় করে যা টাকা জমিয়েছিলাম তা দিয়ে আবার পটৌডি প্যালেস কিনেছিলাম আমি। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই বাড়ি তো আমারই। অতীতের সঙ্গে এত সহজে সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না।’ অন্তত তার পরিবারের কোনও সদস্যই তা পারেন না বলে দাবি করেছিলেন এই অভিনেতা।


সর্বশেষ সংবাদ