গাজাবাসীদের মিশরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

ফিলিপ লাজারিনি
ফিলিপ লাজারিনি  © সংগৃহীত

ইসরায়েল গাজাবাসীদের মিশরের ভূখণ্ডের দিকে বিতাড়নের জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ এন্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মতামতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গাজার ক্রমবর্ধমান সংকট এবং বেসামরিক নাগরিকদের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণে মিশরের সীমান্তের দিকে যাওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেন।

লাজারিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইসরায়েলের গাজা থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে বাস্তুচ্যুত করা ছিল তাদের প্রথম ধাপ, পরবর্তীতে দক্ষিণের খান ইউনিস থেকে বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েল সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে যেতে বাধ্য করে তারা।

তিনি আরও বলেন, এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় ফিলিস্তিনিদের আর কোনও ভূমি থাকবে না। অনেকেই ইতিমধ্যে এটাকে ‘দ্বিতীয় নাকবা’ বলে অভিহিত করছেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের পরিকল্পিত যুদ্ধে তারা সাত কোটি ৬০ হাজার অধিবাসীকে বাস্তুচ্যুত করে ফিলিস্তিন দখল করেন।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ইহুদিদের জন্য নতুন একটি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘বেলফোর ঘোষণা’ ও সহায়তায় গঠিত নতুন রাষ্ট্রটির নাম রাখা হয় ইসরাইল। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর দিন থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে আসে মহাবিপর্যয়। আর মহাবিপর্যয়কেই ফিলিস্তিনি আল-নাকবা বলে থাকে।

ইসরায়েলী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছেনা তাদের বোমা হামলা থেকে। নতুন করে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে গাজা বাসীদের। এমন অবস্থা চলমান থাকলে খাদ্য ঘাটতি ও নানান অসুখে মারা যাবে আরও অনেক মানুষ।


সর্বশেষ সংবাদ