এবার কলকাতার নার্সিং হোস্টেলের শৌচালয়ে ছাত্রীর মরদেহ, সন্দেহে র‌্যাগিং

কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল  © হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-মৃত্যুর রেশ কাটেনি। এরই মধ্যে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের হোস্টেলে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃতকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। চারতলার শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার। ব্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন মাথা চাড়া দিচ্ছে।

যদিও একাংশের দাবি, নার্সিং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ বেশি থাকে। ফলে ছাত্রীটি আত্মহত্যাও করে থাকতে পারে। তবে আদৌও কী ঘটেছিল? তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভবানীপুর থানার পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীর নাম সুতপা কর্মকার। তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। এসএসকেএমের লিটন হস্টেলে থাকতেন তিনি। বুধবার গভীর রাতে হোস্টেলের চারতলা শৌচালয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন অন্যান্য আবাসিকরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চার বছর ধরে কলকাতায় থাকতেন সুতপা। তাঁর বাবা সুদমা কর্মকার স্বর্ণকার এবং মা বেলা কর্মকার গৃহবধূ। সুতপাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান। বুধবার সকাল থেকেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না বলে দাবি করেছেন অন্যরা। 

তাদের দাবি, কয়েকদিন ধরে অন্যমনস্ক দেখাচ্ছিল সুতপাকে। ফলে এটি আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে হাসপাতালের সুপার পিযুষকান্তি রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এসএসকেএমের হোস্টেলে ব়্যাগিংয়ের মতো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল সুপার।

তবে ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার, নার্সিং সুপার এবং একজন অধ্যাপক রয়েছেন তদন্ত কমিটিতে। এছাড়া ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনায় আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় পৌঁছতে না পারায় তা সম্পন্ন হয়নি। ফলে আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত করা হবে। এক্ষেত্রে মানসিক চাপে পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে? নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর জন্য  সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ