পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলো ভারত

পেঁয়াজ
পেঁয়াজ  © ফাইল ছবি

পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। রবিবার (২০ আগস্ট) থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

ভারতের পেঁয়াজের ওপর আরোপিত নতুন এই শুল্ক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের বার্ষিক খুচরা মূল্যস্ফীতি গত ১৫ মাসের সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে; যা তার আগের মাসের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশের তুলনায় বেশি।

অন্যদিকে, দেশটিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক ভোক্তা মূল্যের প্রায় অর্ধেক ১১ দশমিক ৫১ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশটিতে খুচরা খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০২০ সালের জানুয়ারির পর চলতি বছর সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ রুপি হতে পারে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, হঠাৎ করেই ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। এটি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়বে। সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার। ভারতকে শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করতে হবে। তা না হলে পেঁয়াজের দাম বাড়বে।

এদিকে, শনিবার (১৯ আগস্ট) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে এক হাজার ২০৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। এতে ১৬ মার্চ থেকে দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ৫ জুন থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।


সর্বশেষ সংবাদ