টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ একদল পর্যটক

সাগরের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া 'টাইটান' সাবমেরিন
সাগরের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া 'টাইটান' সাবমেরিন  © ফাইল ছবি

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটক বহন করা একটি ট্যুরিস্ট সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে। রবিবার এ ঘটনার পরপরই নিখোঁজ সাবমেরিনটির সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৯ জুন) ইউএস কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাবমেরিনটি আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সাবমেরিনটির মালিক ট্যুর ফার্ম ওশানগেট জানিয়েছে, সাবমেরিনে থাকা পাঁচজনকে উদ্ধারের জন্য সকল বিকল্প পন্থা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটির নাম 'টাইটান'। এই সাবমেরিনে পাঁচজন মানুষ ভ্রমণ করতে পারেন। সাধারণত চারদিনের জরুরি অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে এটি সাগরের তলদেশে ভ্রমণ করে।

সোমবার বিকালে ইউএস কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মোগার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ধারণা করছি, আমাদের হাতে ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৯৬ ঘণ্টা সময় আছে।

তিনি আরও বলেন, দুটি এয়ারক্রাফট, একটি সাবমেরিন এবং একটি সোনোবয় সাবমেরিনটি খোঁজার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু অঞ্চলটি 'দুর্গম' হওয়ায় তল্লাশি অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নিখোঁজ পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য।

আরও পড়ুন: গুগল ম্যাপে জিপিএসে ধারাভাষ্য দিয়ে পথ চেনানো নারীটি কে?

কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে এই ডুবোজাহাজটি যাত্রা শুরু করেছিল। সাধারণত সাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসতে আট ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ওশানগেটের আরও তিনটি সাবমার্সিবল থাকলেও, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা আছে শুধু 'টাইটান'-এর।

এ ডুবোজাহাজটির ওজন ২৩,০০০ পাউন্ড (১০,৪৩২ কেজি) এবং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এটি ১৩,১০০ ফুট পর্যন্ত গভীরতায় পৌঁছাতে পারে এবং পাঁচজন ক্রুর জন্য ৯৬ ঘণ্টার লাইফ সাপোর্ট দিতে পারে।

আটলান্টিকের তলদেশে ৩৮০০ মিটার (১২,৫০০ ফুট) গভীরে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখতে আট দিনের ভ্রমনের জন্য পর্যটকদের গুনতে হয় আড়াই হাজার ডলার।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন নিহত হন। ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়।


সর্বশেষ সংবাদ