প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে টাইটানিক ধ্বংসাবশেষের পূর্ণাঙ্গ ছবি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ০২:১৬ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৩, ০২:৫২ PM
প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছে শত বছর আগে ডুবে যাওয়া প্রমোদতরী টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ডিজিটাল স্ক্যান ছবি। সমুদ্রের তলদেশে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের এমন ছবি আগে কখনো দেখা যায়নি। ফলে সাগরের সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে পড়ে থাকা জাহাজটিকে ভিন্ন রূপে দেখছে মানুষ। খবর বিবিসি।
গভীর সাগরের ম্যাপিং করে পুরো ধ্বংসাবশেষের থ্রিডি ভিউ তৈরি করা হয়। দুটি অংশে বিভক্ত ধ্বংসাবশেষে জাহাজের সামনের দিকের অংশটিও একেবারে পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। ১৯৮৫ সালে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু সাগরের তলদেশে গভীর অন্ধকারে ক্ষয়িষ্ণু জাহাজটির কিছু স্ন্যাপশটই কেবল দেখা গেছে ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। পুরো জাহাজটি এর আগে কখনোই একবারে দেখা যায়নি।
ম্যাগেলান লিমিটেড নামের একটি গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন কোম্পানি মিলে ২০২২ সালে ধ্বংসাবশেষের এই স্ক্যান ছবি তৈরি করেছে। টাইটানিকের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ জরিপ করতে ডুবোজাহাজে বিশেষজ্ঞ দলের ২০০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। প্রত্যেক কোণ থেকে ৭ লাখের বেশি ছবি নেওয়ার পর একটি পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি ভিউ তৈরি করা হয়েছে।
ছবিগুলি হল আটলান্টিকে ৩ হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) গভীরে ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান, যা 'গভীর সমুদ্রের ম্যাপিং' কৌশল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে সমুদ্রের তলদেশে এই বিশাল জাহাজের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, এই ছবিগুলো ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে আসলে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য প্রকাশ করবে।
জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। প্রথমদিনের সমফরে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাচ্ছিলো টাইটানিক।