দ্বাদশ পরীক্ষায় ফেল করায় ভারতে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০০ PM , আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০৮ PM
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করায় দুই দিনের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে ৯ শিক্ষার্থী। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে বোর্ড রেজাল্ট প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। আরও দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। খবর এনডিটিভি।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমসহ এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবছরের পরীক্ষায় প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। একাদশ শ্রেণীতে পাসের হার ছিল ৬১ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ছিল ৭২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের শ্রীকাকুলাম জেলায় একটি ১৭ বছর বয়সী ছেলে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিক্ষার্থী একই জেলার ডান্ডু গোপালপুরম গ্রামের বাসিন্দা ও ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বেশিরভাগ বিষয়ে ফেল করার পরে হতাশয় ভুগে সে আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে মালকাপুরম থানার সীমানার অন্তর্গত ত্রিনাধাপুরমে ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ে তার বাড়িতে আত্মহত্যা করে মারা গেছে। তিনি বিশাখাপত্তনম জেলার বাসিন্দা এবং ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। কয়েকটি বিষয়ে ফেল করায় সে বিরক্ত ও হতাশ ছিল বলে জানা গেছে। একইভাবে
বিশাখাপত্তনমের কাঞ্চরাপালেম এলাকায় নিজের বাসভবনে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন আরেক ১৮ বছর বয়সী যুবক। সে ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে একটি বিষয়ে ফেল করেছিল।
এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার দুই ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এপি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ফেল করার পর আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। একজন মারা গেছেন লেকে ঝাঁপ দিয়ে অপরজন জেলায় কীটনাশক খেয়ে।
আরও পড়ুন: ফাঁসির আদেশের পর কেন কলমের নিব ভেঙে ফেলেন বিচারক।
আনাকাপল্লীতে নিজের বাসভবনে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন ১৭ বছর বয়সী আরেক ছাত্র। ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে কম নম্বর পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে একসঙ্গে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং মনোবিদরা রাজ্যটির শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, হতাশায় তারা যেন চরম কোনো পদক্ষেপ না নেয়।
এর আগে এবছর ইন্ডিয়ান ইন্সিটিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এ বছর সন্দেহভাজন আত্মহত্যায় চার ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূদ এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তার হৃদয় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের শোকাহত। তিনি জানান, তিনি চিন্তা করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় ভুল করছে যে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন নিতে বাধ্য হচ্ছে।