তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আবারও ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ভূমিকম্পের ফলে তুরষ্কে ধ্বংসস্তুপ
ভূমিকম্পের ফলে তুরষ্কে ধ্বংসস্তুপ  © ফাইল ফটো

শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সিরিয়ার সাথে সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪ মিনিটে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের  দেফনে শহর এ ভূমিকম্প হয় বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এএফএডি। 

দেফনে শহরের ২০০ কিলোমিটার উত্তরের আন্তাকিয়া ও আদানা শহরে ভূমিকম্প অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন এএফপির সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকরা জানান, পুনরায় ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসস্তুপের ওপরে ধুলোর স্তর জমা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁরা আহত ব্যক্তিদের সাহায্য চাইতে দেখেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

এদিকে, দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরষ্ক-সিরিয়ার বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ আছেন, এ তথ্য দুই দেশের কারও কাছেই নেই। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, তুরস্কের দুর্গত এলাকার অবকাঠামো এত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, তা ঠিক করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়ে এরদোয়ান এটিকে শতবর্ষে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়ানক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

ভূমিকম্পের কারণে বর্তমানে সবচেয়ে বিপর্যস্ত রয়েছে দেশটির শিশুরা। শত শত শিশু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত শিশুদের মধ্যে ৯৫৩টি শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৫৮৯টি শিশুর পরিবার খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ শিশুদের মধ্যে ২৪৭টির পরিচয়ই জানা যায়নি। দেশটির  প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ জানিয়েছেন এ শিশুদের দেখাশোনা করবে সরকার। 

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এর কেন্দ্র ছিল তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের ১৭ কিলোমিটার নিচে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৬৭২ জন। এছাড়া, সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ জনের ।


সর্বশেষ সংবাদ