সরকারি চাকরিজীবী হয়ে বলছি— ‘পোষ্য কোটা বাতিল করা উচিৎ’

গাজী মিজানুর রহমান
গাজী মিজানুর রহমান  © টিডিসি ফটো

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, বাংলাদেশ রেলওয়েসহ যেসব চাকরিতে পোষ্য কোটা রয়েছে; আমি তার যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না। এই যেন ‘তেলা মাথায় তেল দেয়ার’ মতো! ধনীকে আরও ধনী বানানো; আর গরীবকে আরও গরীব বানানোর প্রক্রিয়া! এর মাধ্যমে সমাজিক ও অর্থনৈতিক গ্যাপ অনেক বেড়ে যায়।

যে পরিবারে একজন চাকরিজীবী রয়েছে; সেই পরিবার এমনিতেই স্বাবলম্বী। তাহলে, তাদের আবার কেন কোটার মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা দিতে হবে? প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, রেলওয়ে নিয়োগসহ সকল নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিল হওয়া উচিৎ।

পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারিতে

বাড়তি সুবিধা যদি দিতেই হয়; তাহলে সেটা একজন কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক এই জাতীয় পরিবারের ছেলে-মেয়েকে দেয়া উচিৎ। কারণ, তাদের পরিবার এসব ছেলে-মেয়েকে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করিয়েছেন অথবা সেইসব ছেলেমেয়েকে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাও ততটা ভালো নয়।

পড়ুন: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন

একজন চাকরিজীবীর ছেলে-মেয়ে যত সহজে পড়াশোনা সুযোগ পায়; নিশ্চয়ই একজন কৃষক/দিনমজুর/শ্রমিক/রিকশাওয়ালার ছেলে-মেয়ে তত সহজে পড়াশোনা করার সুযোগ পায় না বা হয়ে ওঠে না। তাহলে বাড়তি সুবিধা কাদের পাওয়া উচিৎ?

পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: এক মাসের প্রস্তুতিই যথেষ্ট

একজন কৃষক/দিনমজুর/শ্রমিক/রিকশাওয়ালার ছেলে-মেয়ে যদি চাকরি পায়; তাহলে সে ওই পরিবারের আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি তাদের সাফল্য দেখে অন্যরাও তাদের ছেলে-মেয়েদের কষ্ট করে হলেও পড়ালেখা করাতে উদ্বুদ্ধ হবে।

পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী বছরের জুনে

আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও বলছি- সকল ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিল করা উচিৎ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই। আমরা চাই সমাজে যেন পর্যায়ক্রমে বৈষম্য হ্রাস পায়; বৃদ্ধি নয়।

লেখক: ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার ও সাবেক সিনিয়র অফিসার (পূবালী ব্যাংক লিমিটেড)


সর্বশেষ সংবাদ