খুবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১১:২৭ AM , আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১১:২৭ AM
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) নতুন বছরের শুরুতেই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দুপুর থেকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। বিকালে শিক্ষার্থীদের অধিকার হরনের প্রতিবাদস্বরূপ চোখে কালো কাপড় বেঁধে ‘পরিণতি’ নামে একটি পথনাটক করে শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট নিরসন, পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালু, মুক্তচিন্তা বিকাশে সহায়ক অধ্যাদেশের ব্যবস্থা করার দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ১৯৯০ এর ৫ম খণ্ড দাগ নাম্বার ৪৫, পৃষ্ঠা ৬৬১৫ এ উল্লেখ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্র সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করবে। অথচ মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ৩১.৫৯ শতাংশ আবাসন সুযোগ পায়। আবাসন সংকট নিরসনে কত দিনের মধ্যে নতুন হল হবে তা লিখিত আকারে জানানোর পাশাপাশি নতুন হল নির্মাণের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হোস্টেল ব্যবস্থার দাবি জানান। এছাড়া সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ সকল দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আবারও অবস্থান নিয়েছেন তারা।
পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন এবং প্রয়োজন অনুসারে তৃতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালু করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও বিনোদন ব্যবস্থা আয়োজন ও ম্যাগাজিন, বুলেটিন, পোস্টার প্রকাশনায় শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
লাইব্রেরি সময়সীমা সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টা করে সপ্তাহে ৭ দিনই খোলা রাখার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক রাখার পাশাপাশি মেডিকেলে প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম কেনার দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসামাঞ্জস্য পাওয়া গেলে অবশ্যই টাকা ফেরত দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সেসব সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে।