সমস্যা সমাধানে স্মারকলিপি
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নবসৃষ্ট পদে নন-এমপিও চাহিদা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ০৮:০৭ AM , আপডেট: ২১ মার্চ ২০২২, ০৯:২৯ AM
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নবসৃষ্ট বাংলা, ইংরেজি, ভৌত বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ, ব্যবসায় শিক্ষা, রসায়নসহ অন্যান্য বিষয়ে নন-এমপিও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের এমপিও জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (২০ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) কাছে জমা দেয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানান শিক্ষকরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষে মো. হাবিবুর রহমান, মো. সিরাজুল ইসলাম ও বরুন কুমার বিশ্বাস এই স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, এমিপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের পরামর্শক্রমে এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নতুন বিষয়ে নন এমপিও চাহিদা দেন। এর কারণ হিসেবে প্রধানগণ জানান, এই পদগুলোতে এর আগে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। নতুন পদ হওয়ায় তারা নন এমপিও চাহিদা দিয়েছেন।
নিয়োগ পাওয়ার পর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বিষয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির আবেদন করলে সুপারিশপত্রে নন-এমপিও লেখা থাকায় এমপিও আবেদন বাতিল করা হয়। তবে এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী এই পদগুলোতে এমপিও প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। নীতিমালা ৯.৩ ধারায় একই বিষয়ে সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন শিক্ষকের সাথে সমন্বয় করবে? এই পদগুলো ৩য় নিয়োগচক্রে প্রথম নিয়োগ। অথচ মূল প্যাটার্ন অনুযায়ী তাদের পদটি শূন্য রয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ এমন একটি আদেশ চান যেন প্রাপ্যতা সঠিক থাকলে তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেন।
প্রার্থীরা জানান, মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তাদের জানানো হয়েছে, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বিষয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি থেকে নির্দেশনা জারি করতে হবে। তাই এসব পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে নবসৃষ্ট পদে এমপিও দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি এবং এনটিআরসিএর সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান। এই নির্দেশনা জারির দাবিতেই স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রেও একই ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করলে শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হন। তৃতীয় নিয়োগ চক্রে নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের নির্দেশনা জারির দাবি জানান তারা।