১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনের সুযোগ না পাওয়া অস্বাভাবিক: এনআই খান

নজরুল ইসলাম খান
নজরুল ইসলাম খান  © টিডিসি ফটো

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাননি ৭৩৯ জন প্রার্থী। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলেছেন সাবেক শিক্ষা সচিব ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান)। 

বুধবার (০৩ জুলাই) ধানমন্ডির নিজ বাসায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

এনআই খান বলেন, বিষয়টি আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। কেননা করোনাকালীন সময়ে এই নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। যেহেতু করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি; সেহেতু তাদের বয়সের ছাড় পাওয়া দরকার ছিল। কেননা এই প্রার্থীরা একবারও আবেদনের সুযোগ পাননি। করোনা বিবেচনায় না নিলেও মানবিক দিক বিবেচনায় এই প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া দরকার ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষা সচিব থাকাকালীন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের আইন তৈরি হয়েছিল। সেই আইনে বলা ছিল, যখন এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা নেওয়া হবে তখন মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যতগুলো শূন্য পদ পাওয়া যাবে, তার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করাতে হবে। বর্তমানে বিষয়টি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। শিক্ষক নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার কথা থাকলেও ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে ৭৩৯ জন নিবন্ধনধারীর বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। এর ফলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাননি ভুক্তভোগীরা।


সর্বশেষ সংবাদ