কাল থেকে আন্দোলনে নামছেন ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা  © ফাইল ছবি

বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একবার আবেদনের সুযোগ দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিত ৭৩৯ জন প্রার্থী। আগামীকাল সোমবার (২৪ জুন) থেকে এ কর্মসূচি পালন শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিত ৭৩৯ জনের পক্ষে রাজ্জাকুল হায়দার, ইউসুফ ইমন, হামিদুর রহমান রন ও আরিফ খানের পক্ষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ভুক্তভোগীদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৭তম নিবন্ধনের ৭৩৯ জন প্রার্থীকে আবেদনবঞ্চিত করায় এবং দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটিবার আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ২৪ জুন সকাল ১০টায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন শুরু হবে।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। ২০২০ সালের ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে করোনার কারণে চার বছরের বেশি সময় চলে যায়। এতে এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী বঞ্চিত হয়েছেন।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। ১ বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে আমাদের ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। অথচ সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও ১ বার আবেদন এর সুযোগ দেওয়া হলো না। কিন্তু  বিগত গণবিজ্ঞপ্তিতে সবগুলো তেই ছাড় দেওয়া হলেও ১৭তমদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। চাকরি হবে না তাহলে পাস কেন করানো হলো? সনদ-ই কেন দেওয়া হলো? 

উল্লেখ্য, এর আগে একই  দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী,  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ