৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে ফেসবুকে ‘গুজব’

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

গতকাল বুধবার থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ আজ বৃহস্পতিবার করা হবে’ এমন খবর ছড়ানো হয়। ভিত্তিহীন এ খবরের সত্যতা বাড়াতে সূত্র হিসেবে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমানের নাম জুড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেটি ভিত্তিহীন।’

জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ করা হবে। তবে এসব প্রার্থীদের কোন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করা হবে সে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি পদ ফাঁকা রাখা সংক্রান্ত একটি রিটের কারণে প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিজ জেলায় সুপারিশ, একটি মামলার কারণে সুপারিশে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হবে। 

এ বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো- ঈদের আগেই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ করা। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। আশা করছি ঈদের আগে প্রাথমিক সুপারিশ করতে পারবো।

গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারীরা।

 

সর্বশেষ সংবাদ