১৭তম নিবন্ধন: ৩৫ ঊর্ধ্ব রিটকারীদের আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএর লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএর লোগো   © ফাইল ফটো

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা রিটকারী প্রার্থীদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এ বিষয়ে একটি রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের বিচার বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার-এর দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। তাকে সহযোগিতা করেছেন অ্যাডভোকেট মোঃ শাহীনুজ্জামান এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ।

রিটকারীদের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মো. ইউসুফ। তিনি বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৭০০ এর অধিক প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। তবে আদালত সবাইকে আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেননি। যারা রিটে অংশগ্রহণ করেছেন কেবল তাদেরকে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

নতুন করে রিটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মো. ইউসুফ আরও বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিল রিটকারীদের নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে আমরা হাইকোর্টে যাব। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে রিটে যুক্ত হতে চায় তাহলে সমস্ত কাগজপত্রসহ আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এর পর আর রিটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

রিটে যুক্ত হতে 01718-669652 (রাজ্জাকুল হায়দার) অথবা 01824-440254 ( মো: ইউসুফ) এ নাম্বারে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, শিক্ষক নিবন্ধন নীতিমালায় সনদের মেয়াদ তিন বছর। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নীতিমালা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও ৭০০ এর অধিক প্রার্থী আবেদনের সুযোগ হারাতে বসেছিলেন। তবে আদালতের নির্দেশনা আসায় রিটে অংশ নেওয়া নিবন্ধনধারীরা এখন গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তবে করোনাভাইরাস সহ নানা কারণে এই নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে অনেক সময় লেগে যায়। প্রিলি, লিখি ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ২০২৩ সালের শেষ দিকে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এই নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগে যায়। এতে অনেকেরই এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রম হয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ