এনটিআরসিএ’র সনদ ২ লাখ, এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ ৬ লাখ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ বিক্রি এবং এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের সুপারিশের মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন এনটিআরসিএর ড্রাইভার মো. জিয়াউর রহমান। তার এই কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিস্টেম এনালিস্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বিক্রি, নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেন জিয়াউর। এজন্য সার্টিফিকেট প্রতি নিতেন দুই লাখ টাকা। আর ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাইয়ে দেওয়ার তদবির করতেন তিনি। এই কাজ করে গত ১৭ বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন।

জিয়াউর রহমানের এই কাজের অন্যতম সহযোগী ছিলেন এনটিআরসিএর সিস্টেম অ্যানালিস্ট ওয়াসি উদ্দিন রাসেল। তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০২০ সালে পরিবার নিয়ে কানাডায় চলে গেছেন। 

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জিয়াউর রহমান ২০০৫ সালে এনটিআরসিএর ড্রাইভার পদে চাকরি শুরু করেন। গত ১৭ বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৮ জন্য চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন। এই চেয়ারম্যানদের অধিকাংশের ড্রাইভার ছিলেন জিয়াউর। জিয়াউর একজন ড্রাইভার হলেও এলাকায় তিনি সচিবালয়ের বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার অর্থ-সম্পদের পরিমান দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এনটিআরসিএর ড্রাইভার জিয়াউর রহমান মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের মাধ্যমে নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন এমন প্রার্থী জোগাড় করতেন। তার এই কাজে সহযোগিতা করতেন মাউশির সাবেক কর্মচারী নেতা বদিউজ্জামান, উচ্চমান সহকারী নজমুল হোসেন ও একটি প্রকল্পের গাড়িচালক মো. নজরুল ইসলাম। তবে এনটিআরসিএর সিস্টেম অ্যানালিস্ট রাসেল কানাডায় চলে গেলে তাদের এই সনদবাণিজ্যে ভাটা পড়ে।

শিক্ষক নিবন্ধন সনদবাণিজ্যের বিষয়ে জানতে ড্রাইভার জিয়াউর রহমানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জিয়াউর রহমানকে আমি চিনিও না। তবে আজই তার বিষয়ে খোঁজ নেব বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ