সহকর্মীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন প্রধান শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৪ PM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৯ PM
সহকর্মী শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও তার আত্মীয়র বিরুদ্ধে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় মাঠে এমন ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকের নাম মিরাজ শরিফ। তিনি গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত নজিবর রহমানের ছেলে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের পড়া না পাড়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডাস্টার দিয়ে মাথায় আঘাত করেন হাবিবুর রহমান। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানতে পেরে বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে না পেয়ে সহকারী শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেন তারা। পরে সহকারী শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে অভিভাকদের শান্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি, পাঁচ দোকানকে জরিমানা।
এ ঘটনার জেরে আজ (বুধবার) সকালে শিক্ষক মিরাজ শরিফ বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান রাগান্বিত হয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনদের খবর দিয়ে বিদ্যালয়ে ডেকে আনেন। হাবিবুর রহমান, তার ভাই জমজম ও ভাগ্নে পিপুল বিদ্যালয়ে এসে মিরাজ শরিফকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে অন্য সহকর্মীরা মিরাজ শরিফকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মিরাজ শরিফ জানান, প্রধান শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কষ্ট করে হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনার চেষ্টা করি। এই নিয়ে ক্ষোভের কারণেই আজকে সকালে আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিরাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহাজাহান রেজা। ঘটনা তদন্তে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত শিক্ষক মিরাজ শরিফ অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হবে। তিনিই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয় থেকে বদলি নিতে চেয়ে শিক্ষা অফিসে দরখাস্ত করেছি। আজকে আমার ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীদের মারধর করিনি।