লাখ টাকার সোনার আইসক্রিম খাওয়ার জন্য ঢাকাতে হোটেল ‘ওভারবুকড’

ই আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ারযোগ্য সোনা
ই আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ারযোগ্য সোনা  © সংগৃহীত

বর্ষপূর্তিতে একটি আইসক্রিম প্যাকেজ এনেছে হোটেল স্যারিনা। প্রতিষ্ঠানটির ১৯তম বর্ষপূর্তি স্মরণীয় করে রাখতেই চমকপ্রদ এই আয়োজন। ২৪ ক্যারেটের খাবারযোগ্য সোনায় মোড়ানো আইসক্রিম। দামেও কম যায় না। লাখ টাকা নয়, এক টাকা কম। গুণতে হবে ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

রোববার ( ১৭ জুলাই) হোটেল স্যারিনার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, ঢাকার সবচেয়ে দামি আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৯,৯৯৯ টাকায়। ফেসবুকে বিভিন্নজন তাদের বন্ধুদের মেনশন ও ট্যাগ করে পোস্ট দিচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ চমকপ্রদ এই প্যাকেজ স্বাভাবিক ভাবে নিলেও, কেউ কেউ মজাও করছে।

আপনি হয়তো ভাবছেন, কে খাবে লাখ টাকার আইসক্রিম? বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে অসংখ্য ফরমাশ এসেছে এই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই এই তাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, আপাতত লাখ টাকার সোনার আইসক্রিমের ফরমাশ না করার জন্য। কেননা তারা আর অর্ডার নিতে পারছে না। 

এ ছাড়া হোটেলটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (মার্কেটিং) সৈয়দ মেহেরান হুসাইন জানিয়েছেন, আইসক্রিমের জন্য তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে গোল্ড লিফ এনেছিলেন। এই গোল্ড লিফ এখন ‘আউট অব মার্কেট’। তাই খুব বেশি ফরমাশ নেওয়ারও সুযোগ নেই। তিনি বললেন, ‘আমরা আসলে ভাবিনি যে আমাদের এই উদ্যোগ এতটা সাড়া ফেলবে! আমরা অভিভূত।’  

প্রতিষ্ঠানটির রিসিপশন বিভাগে কর্মরত রিফাত ইসলাম জানান, ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকার আইসক্রিম প্যাকেজ কিনলেই পাবেন হোটেল স্যারিনায় এক রাত (লাক্সারিয়াস ইমপেরিয়াল সুইট) থাকার সুযোগ। সঙ্গে ব্রেকফাস্ট ফ্রি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত দুই ধরনের গোল্ড বাজারে পাওয়া যায়। একটি ব্যবহারযোগ্য, অপরটি খাবারযোগ্য। খাবারযোগ্য গোল্ড দুবাইসহ বিশ্বের ধনী শহরগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। আমরা আইসক্রিমে এই খাবারযোগ্য গোল্ডই ব্যবহার করছি। এটি দুবাইয়ের ২৪ ক্যারেটের খাটি গোল্ড দিয়ে বানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিতব্যয়ী হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

এছাড়াও হোটেল স্যারিনায় এক রাত (লাক্সারিয়াস ইমপেরিয়াল সুইট) থাকার জন্য ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাবেন আইসক্রিমের প্যাকেজে। কেউ যদি এক্সট্রাঅর্ডিনারি এক্সপিরিয়েন্স নিতে চান, তাহলে এই প্যাকেজটি গ্রহণ করতেই পারেন। যে কেউ চাইলেই লাখ টাকার আইসিক্রমের প্যাকেজটি নিতে পারবেন। তার আগে হোটেলের বুকিং দিতে হবে।

দুবাইয়ে বেশ জনপ্রিয় স্কুপি ক্যাফে। সেখানেই পাওয়া যায় স্পেশাল এক আইসক্রিম। নাম তার ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড। যার দাম ৬০ হাজার টাকা। সম্প্রতি এই ক্যাফেতে হাজির হয়েছিলেন সঞ্চালক ও ইউটিউবার শেহনাজ ট্রেজারি। সেখানে গিয়েই চেখে দেখলেন এই আইসক্রিম । এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শেহনাজ। জানা যায়, এই আইসক্রিম দেওয়া হয় জনপ্রিয় ব্যান্ড ভার্সাচির এক বাটিতে। ভ্যানিলা আইসক্রিমের মধ্যে ছড়ানো থাকে সোনা। ভ্যানিলার স্বাদের সঙ্গে মিশে যায় সোনার স্বাদ। দুবাইয়ের এই ব্ল্যাক ডায়মণ্ড আইসক্রিম দেখে শেহনাজ তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ৬০ হাজার টাকার আইসক্রিম। সোনা খাচ্ছি। খেতে বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে আমাকে কিন্তু একটা পয়সাও দিতে হয়নি!

২০১৫ সাল থেকে এই ক্যাফেতে বিক্রি শুরু হয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড আইসক্রিম। রাতারাতিই জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলে ক্যাফের এই সোনার আইসক্রিম। ভ্যানিলা আইসক্রিমের উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ২৩ ক্যারেট সোনা। সঙ্গে থাকে ইরানের স্যাফরন ও ব্ল্যাক ট্রাফেল। শেহনাজের আইসক্রিম খাওয়ার এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা লিখেছেন, এই আইসক্রিম খেয়ে টাকা না নষ্ট করে দুবাইয়ের নানা জায়গা ঘুরা ভাল।


সর্বশেষ সংবাদ