নতুন ইসিতে তিন সাবেক সচিব, বাকি দু’জন প্রাক্তন সেনা ও জজ

 কাজী হাবিবুল আউয়াল,  বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান
কাজী হাবিবুল আউয়াল, বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান  © লোগো

প্রথমবারের মতো আইন অনুযায়ী গঠিত হলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন ইসিতে রয়েছেন সাবেক তিনজন সচিব এবং বাকি দু’জন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা ও জজ। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। 

আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ  সচিব ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন।

বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা তার আগে আইন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এবং সংসদ সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছিলেন।

একই সাথে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আরও একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে অপর চার নির্বাচন কমিশনারদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন বলছে, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম আইনের অধীনে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হলো। এর আগে দু’বার সার্চ কমিটি গঠন করে ইসিতে নিয়োগ হলেও তখন আইন ছিল না। ২০১৭ সালে তখনকার সার্চ কমিটি যেদিন রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ তুলে দিয়েছিল, সেদিনই নিয়োগের আদেশ হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ