থানায় অভিযোগ
শিক্ষকের জমি দখল করে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৩ AM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৫ AM
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার টানিয়ে এক স্কুলশিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই স্কুল শিক্ষকের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের দেউলা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মানিক মণ্ডল, ইসরাইল হোসেন, ফজলুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। আর টানানো পোস্টারটি আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমানের বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে, তারা জানিয়েছেন আগামি ৫ তারিখ স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বিষয়টির একটা সুরাহা করবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা হাসপাতালে আগুন
মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, গত ২৬ ডিসেম্বর তাঁর বাস টার্মিনালের ওই জায়গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনের ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ঘিরে ফেলেন। প্রথমে কালো কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লুৎফর রহমানের নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে সিমেন্টের খুঁটি ও ওপরে ঢেউটিনের ছাউনি দেওয়া হয়। তিনি বাধা দিলে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি ইউএনও ও ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে ওই দিনই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দখলদারেরা তখন পুলিশকে বলেন, নির্বাচনের পর তা ভেঙে ফেলবেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে হিন্দু ছাত্রীদের জন্য আলাদা মন্দির হচ্ছে
অভিযোগের বিষয়ে ইসরাইল হোসেন বলেন, নির্বাচনের জন্য জায়গাটি সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন পার হলে জায়গাটি ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি দাবি করেন, জায়গাটি অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের দাদা ৩০-৪০ বছর আগে তাদের (শ্রমিকসংগঠনকে) মৌখিকভাবে দান করেছিলেন। এ জন্য অনেক নিচু এই জায়গাটি ভরাট করা হয়েছে।
বাগমারা থানার এসআই তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাদী ও বিবাদীকে নিয়ে একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিবাদীরা নির্বাচনের পর জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এরপরও জায়গাটি দখলমুক্ত না হলে বাদীকে আদালতে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস বাগমারার ইউএনও ফারুক সুফিয়ানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।