রাব্বানীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২

গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলা
গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলা  © সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলার মামলার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজৈর ইশিবপুর ইউনিয়নের গ্যাংকান্দি শাখারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: কাল বৃষ্টি সম্ভাবনা, জানুয়ারির শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

গ্রেফতাকৃতরা হলেন- ইশিবপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার ছেলে ও মামলার প্রধান আসামি সোহেল মোল্লা ও একই এলাকার জহিরুল মাতুব্বর।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাজৈর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন।

আরও পড়ুন: এসএসসির ফল ৩০ ডিসেম্বর

তিনি জানান, ‘সোমবার রাতে মামলার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

তবে হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে জৈর থানা পুলিশ মামলা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশীদ আজাদ।

গোলাম রাব্বানীর বাবা জানান, ‘মামলা থেকে হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার নাম বাদ দিয়েছে থানা। অথচ ঘটনার দিনেই আমি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। আর এক দিন পর তার নাম বাদ দিয়ে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘চিরবিদায়’ বলে প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যা

‘পরে চেয়ারম্যানের ছেলেকে প্রধান আসামি করে মামলা নেয়া হয়। এখন বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এসব অভিযোগের বিষয় রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক বলেন, নির্বাচন পরবর্তী ব্যবস্থা সামাল দিতে ঘটনার দিন মামলায় সময় দিতে পারেননি। পরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিদের যেন হয়রানি করা না হয় সেভাবেই মামলা হয়েছে।’

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ৩টার দিকে হামলার শিকার হন সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম রাব্বানী।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয়।’

আরও পড়ুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা আজ

তবে এ বিষয়ে মোশারফ মোল্লা বলেছিলেন, ‘গোলাম রাব্বানী কেন্দ্র দখল করতে এসেছিল। পরে তাকে প্রতিহত করেছে স্থানীয়রা।’

নির্বাচনে রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন ইশিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে হেরে যান।


সর্বশেষ সংবাদ