স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন পালিয়ে যাওয়া দুই স্কুলছাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৩ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৩ PM
চিরকুটে ‘চলে যাচ্ছি, আর ফিরে আসব না’ লিখে সীতাকুণ্ডের বাড়ি থেকে উধাও হওয়া দুই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লার দ্বেবীদার থেকে তাদের উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭। তারা দুই জনই এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীর নাম- তামান্না আকতার (১৭) ও অর্পা মল্লিক (১৬)। দুই বান্ধবী গত ২৩ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘চলে যাচ্ছি, আর আসবো না’ লিখে দু’ছাত্রী নিখোঁজ
বাড়ি থেকে পালিয়ে বেশভূষা পাল্টে পুরুষ সাজেন একজন, ঘর থেকে পালিয়ে কুমিল্লায় বাসা ভাড়া নেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। সবাইকে বোকা বানিয়ে চলছিল তারা কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। একমাস পর র্যাবের হাতে ধরা পড়ে ঘরে ফিরতে হলো তাদের। ঘটনার ৩৪ দিন পর তাদেরকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
উদ্ধারের পর দুজনকেই চট্টগ্রাম নিয়ে আসে র্যাব। বাহিনীটি জানায় ওই দুই কিশোরীর অন্তর্ধানের নেপথ্য কাহিনি। মাত্রই এসএসসি পরীক্ষা দেয়া এ দুই সহপাঠীর বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরায়। দুজন দুজনের হরিহর আত্মা। তাদের দাবি, নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২৩ নভেম্বর ঘর ছেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেলো ছাত্রীর
কুমিল্লা গিয়ে বাসা ভাড়া নেন। মাথার চুল কেটে, টুপি পাঞ্জাবি পরে পুরুষ সাজেন একজন। অন্যজনকে দেন স্ত্রী পরিচয়। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় পরিবার বিয়ে মেনে নিচ্ছে না বলে গল্প ফাঁদেন বাড়িওয়ালার কাছে। তামান্নার স্বপ্ন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হওয়া এবং অর্পার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু পরিবার বাল্যবিয়ের উদ্যোগ নেয়ায় অর্পাকে নিয়ে ঘর ছাড়েন তামান্না। তবে পুরো ঘটনাকে এক ধরনের ফ্যান্টাসি বলছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ। তবে নাটকীয় সব ঘটনা শেষে সন্তানদের ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: যে কারণে ‘চিরকুমার’ ছিলেন জয়নাল হাজারী
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্রী জানিয়েছে, বাড়িতে তাদের বিয়ের ব্যপারে কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু তারা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চায়। মূলত বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচতে পরিকল্পনা করে দুই শিক্ষার্থী বাড়ি ছেড়েছে। কুমিল্লায় গিয়ে তারা একটি বাসা ভাড়া করে। তাদের একজন বাসাবাড়িতে কাজ করতো এবং অপরজন একটি দোকানে কাজ করতো। উদ্ধারের পর তাদেরকে সোমবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।