রাস্তার পাশে সাজানো ইফতারের প্যাকেট, ফ্রি নিচ্ছেন রোজাদার

রাস্তার পাশে রাখা ইফতার প্যাকেট
রাস্তার পাশে রাখা ইফতার প্যাকেট  © সংগৃহিত

সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে ইফতার প্যাকেট, পাশেই রাখা হয়েছে একটি করে পানির বোতল। নিম্ন আয়ের মানুষ কিংবা অসহায় মানুষরা নির্দ্বিধায় যে যার মতো করে প্রয়োজন অনুসারে সেই ইফতারের প্যাকেট নিয়ে নিচ্ছে। এমনি কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রশংসায় ভাসছেন আয়োজকরা।

ফেসবুকে কয়েকটি ছবি দিয়ে সালাউদ্দিন সোহাগ নামে একজন লিখেছেন,‘ইফতারির ভিন্ন আয়োজন। হ্যা, এটি কাতার কিংবা সৌদি আরব নয়। এটা আসার জন্মস্থান পটুয়াখালী। দরিদ্র মানুষের জন্য ইফতারির আয়োজন। পটুয়াখালীবাসী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই আয়োজন পটুয়াখালীর রাস্তায়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউস গোল চত্বর এলাকায় বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতারির এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) থেকে প্রতিদিন এ আয়োজন চলছে। প্রতিদিন ৫০ জন রোজাদার ব্যক্তির জন্য এই আয়োজন করা হয়। প্রতি প্যাকেটে মুড়ি, বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, খেজুর এবং সঙ্গে খাবার পানির একটি বোতল থাকে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান রায়হান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিদিন রিকশাচালক, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে এ ইফতার দেওয়া হয়। আমরা সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে ইফতার প্যাকেট সাজিয়ে রাখি। প্রত্যেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ইফতার প্যাকেট নিয়ে যান। বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য আমাদের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন, যাতে প্রয়োজন ছাড়া বা নিম্নশ্রেণির বাদে অন্য কেউ প্যাকেট নিতে না পারেন।

2 (3)

বিত্তবানদের সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী এই আয়োজন জানিয়ে রায়হান বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন ফান্ড নেই। বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় আমরা এই আয়োজন করে থাকি। সহযোগিতা পেলে পুরো রমজান মাস জুড়ে এই আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

পটুয়াখালীবাসী সংগঠনটি বিভিন্ন দুযোর্গকালীন সময়ে কাজ করে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১১ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জেলায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামুলক কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৫০ শিক্ষার্থী সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নেও সংগঠনটির শাখা রয়েছে।

এর আগে সংগঠনটি স্কুলের বাচ্চাদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান, বৃক্ষরোপণ, শীতবস্ত্র প্রদান, ঈদ সামগ্রী প্রদান, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়ন করেছে বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ