টিউশন ফি আদায়ে মাউশির নির্দেশনা অমানবিক: অভিভাবক ঐক্য ফোরাম

অভিভাবক ঐক্য ফোরাম
অভিভাবক ঐক্য ফোরাম  © ফাইল ফটো

করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি আদায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটিকে অমানবিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঐক্য ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলুর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‌‌‌‌এতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি স্কুল কর্তৃপক্ষকে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর বিষয়ে মানবিক আচরণ করার কথা বললেও তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উহার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকদের অভাব-অনটন ও দুর্ভোগের বিষয়ে কোন গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে পুরো টিউশন ফি পরিশোধের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করছে। যা কোনভাবেই অভিভাবকরা মানতে বাধ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাসিক টিউশন ফি ছাড়াও জানুয়ারি মাসে ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্তত ২০টি খাতে বিভিন্ন হারে ফি আদায় করেছে। অথচ মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে মাত্র ৭টি খাত উল্লেখ করা হয়েছে। এসব খাতে ফি আদায় করে থাকলে ফেরত দিতে হবে বা টিউশন ফির সাথে সমন্বয় করতে বলেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, যেসব খাতে ফি নিতে বারণ করা হয়েছে সেগুলোর যদি স্কুল-কলেজ ফি নেয় কিংবা সমন্বয় না করে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেবে বা কোথায় অভিযোগ করা যাবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি। তাছাড়া করোনায় অভিভাবকদের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি চাকরিজীবী আর বড় ব্যবসায়ী বাদে বাকিদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ফুল ফ্রি বা হাফ ফ্রির নির্দেশনা দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশরীরে পাঠদান না করিয়ে টিউশন ফি আদায়ের এ নির্দেশনার ফলে শিক্ষায় সংকট আরও বাড়বে। করোনা যদি আরও এক বছর স্থায়ী হয়, আর সেজন্য যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, তাহলে তার খেসারত দিতে হবে অভিভাবকদের। মাউশির এই নির্দেশনা অভিভাবকদের পকেট কাটার সামিল। এ নির্দেশনার ফলে, স্কুলে শুধু ছাত্র ভর্তি করিয়ে সারা বছর পাঠদান না দিয়ে শিক্ষকরা ঘরে বসে বেতন ভাতা তুলবে। তাদের স্কুলে যাওয়া লাগবে না। শ্রেণিতে পাঠদান না করে টিউশন ফি আদায় করার প্রথা চালু হলে শিক্ষাদানে শিক্ষকদের অনীহা চরমে পৌছবে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

বিবৃতিতে সরকার কর্তৃক সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফিসহ অন্যান্য খাতের ফি নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় টিউশন ফি আদায়ের নির্দেশনা পুনঃ বিবেচনা না করলে স্কুল খোলার পর এ বিষয়ে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করে উক্ত নির্দেশনা বাতিলে বাধ্য করা হবে বলেও জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ