কোয়ার্টারের ড্রেনে ভেসে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা

  © সংগৃহীত

রাজশাহীর শিরোইল এলাকার রেলওয়ে অফিসার্স মেস ভবনের সামনে সব মানুষের চোখ ড্রেনের কালো পানিতে। ড্রেনে নেমে পাঁচ থেকে সাতজন কিছু একটা ধরার চেষ্টা করছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হবে মাছ ধরছেন। তবে একটু পরই জানা গেল, মাছ নয়, ভেসে যাওয়া টাকা ধরছেন তাঁরা।

আজ শনিবার বেলা একটার দিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এখানে আরও লোক সমাগম বাড়তে থাকে। যারা এতোক্ষণ ড্রেনে টাকার কথা শুনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন নিজেরাও নেমে গেলেন সেই টাকা কুড়াতে। কেউ কেউ দু’একটি করে ১০০০, ৫০০ কিংবা ১০০ টাকার নোট পেয়েছেন, আবার কেউ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জসিম নামে এক ব্যক্তিকে যেখানে টাকা কুড়াতে দেখা গেছে। তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন। তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।

হাবিব নামের এক রিকশাচালক রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই রাস্তা দিয়ে। পরে তিনি জানতে পারেন ড্রেন দিয়ে এক হাজার টাকার নোট ভেসে যাচ্ছে। তিনি জানান, তিনি এখনো এক হাজার টাকার নোট দেখতে পাননি। ১০০, ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন। তিনি কথাগুলো বলছিলেন ভেজা কিছু কাগজপত্র খুলে দেখতে দেখতে।

জানা গেছে, টাকাগুলো রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের। যা পুরনো কাগজপত্রের ভেতর ছিল। নগরীর শিরোইল এলাকায় সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়। সেখান থেকেই কাগজের সঙ্গে খেয়াল না করে টাকাগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এগুলো দুর্নীতি করে জমানো টাকা। ভয়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, তিনি জেনেছেন ওই ড্রেন দিয়ে কোনো অফিসের পুরোনো কাগজপত্র ভেসে যাচ্ছে। তার সঙ্গে কিছু টাকাও নাকি পাওয়া যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ