ইভিএমে রয়েছে করোনার ঝুঁকি: আইইডিসিআর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২০, ০৭:৪৫ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০, ০৭:৪৫ PM
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরগাট-৪ আসনের উপনির্বাচন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইভিএম সিস্টেম ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, একই ইভিএম বাটনে বিভিন্ন ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে ভোট নির্ধারিত দিনে ভোট স্থগিত করার দাবি উঠে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে। এমনকি নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছেন অনেক প্রার্থীও।
কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়ে ইসি ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব ভোটে পড়বে না। এই দিন ভোট করা অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। কমিশন এ ভোটের বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধা দুটি বিষয়ই বিবেচনা করেছে। সুবিধা বেশি মনে হয়েছে বলেই ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে আইইডিসিআর বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) আগেই একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সারা দেশে যেন পুরো কমিউনিটি যেন সংক্রমিত না হয়, সেই জন্য যে কোনও ধরনের গণজমায়েত বা সভা সমাবেশ না করার জন্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া পরামর্শ না মেনে চললে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই সুস্থ থাকার পক্ষে পরামর্শগুলো সবার মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘আমরা নতুন করে ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করেছি। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী এবং আক্রান্তরা সবাই আলাদা পরিবারের সদস্য। আক্রান্ত নারী ও ১ জন পুরুষের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে এবং অপর একজন পুরুষের বয়স ৭০ বছর। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি আইসিইউতে আছেন।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন ইতালি ফেরত ও ২ জন বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে আক্রান্ত। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৪ জন এবং আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০ জন’।
চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদের জন্য নিরাপত্তা পোশাক হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।