দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামানোর পদ্ধতি জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯, ০৭:৩১ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০১৯, ১১:৪১ PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একটি সুশাসন ভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেগম রওশন আরা মান্নান (মহিলা আসন-৪৭) এর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কর্মকৌশলের আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’, ‘স্কুল-কলেজের সততা সংঘ’ গঠন এবং ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বরূপ এবং কারণ উদ্ঘাটন করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে সুপারিশ প্রেরণ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এরূপ কার্যক্রমের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে দুর্নীতির মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও স্ব-শাসিত সংস্থা। কমিশন নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন এনফর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। এর ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সকল ইতিবাচক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।