০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২

‘ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ৫ বড় হাসপাতাল’, যেসব খবর শীর্ষ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম

রাজধানীতে ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ৫ বড় হাসপাতাল  © টিডিসি সম্পাদিত

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে। আজকের আলোচনায় থাকা এমন কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে একসঙ্গে উপস্থাপন করা হলো।

দেশের দৈনিক পত্রিকা— প্রথম আলো, সমকাল, যুগান্তর, আজকের পত্রিকা, ইত্তেফাকসহ কয়েকটি পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন’

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও সংকটজনক। তবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারও আগের চেয়ে ভালো আসছে। যদিও আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো উন্নতি এখনও হয়নি। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে তার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্য থেকে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ বুধবার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানান। এ হাসপাতালেরই করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দলের মনোনীত ব্যক্তির ব্রিফিং ছাড়া অন্য কারও বক্তব্যে ভরসা করবেন না। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক চিকিৎসা কার্যক্রম নজরদারির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির সব প্রস্তুতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: আজ সকাল থেকে টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না দুই জেলায়

যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকরা ডাক দিলে কিছুটা সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার আগের চেয়ে ভালো আছে। যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে আরেকটি চিকিৎসক টিম আসছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতেও বৈঠক করেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ড, যেখানে দেশি-বিদেশি অন্তত দেড় ডজন চিকিৎসক যুক্ত হন। বৈঠকে লন্ডন ক্লিনিকের বিখ্যাত চিকিৎসক প্যাট্রিক ছিলেন; যার অধীনে খালেদা জিয়া লন্ডনে মাসব্যাপী চিকিৎসা নিয়েছেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। 

বৈঠকের পর বোর্ডের একজন সদস্য জানান, কিছু জটিলতা কেন বারবার দেখা দিচ্ছে, তার কারণ খোঁজা হচ্ছে। নতুন করে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনা হবে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।

যুগান্তরের আজকের প্রধান শিরোনাম— ‘ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ৫ বড় হাসপাতাল’।

ঢাকায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের মধ্যে হাসপাতালগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আট বছর আগের জরিপে দেখা যায়, ঢাকার ২৪৮টি হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ, তার মধ্যে ১৭৪টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ—এবং পাঁচটি বড় হাসপাতাল বিশেষভাবে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত হয়েছিল। এই হাসপাতালগুলোর কিছু ভবন ৫০–১৫০ বছর পুরনো, তবু সেখানে চিকিৎসা, পাঠদান ও আবাসিক কার্যক্রম চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পুরোনো ভবনগুলো বর্তমানে নিরাপদ নয়, দ্রুত মূল্যায়ন ও সংস্কার জরুরি।

এই হাসপাতালগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড হাসপাতাল), বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এসব হাসপাতালের মধ্যে মিটফোর্ডের কয়েকটি ভবনের বয়স ১৫০ বছর, ঢামেকের একটি ভবনের বয়স ১২০ বছর, পিজি হাসপাতালের দুটি ভবনের বয়স ৬৫ বছর, পঙ্গু ও শিশু হাসপাতালের বয়স ৫৩ বছর। অথচ এসব পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা, পাঠদান, এমনকি আবাসিক হিসাবেও ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত পুরোনো ভবন সবার জন্যই ঝুঁকির। এগুলোর মেয়াদ এরই মধ্যে অনেকাংশে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পসহ যেকোন দুর্যোগের জন্য হাসপাতালের অবকাঠামো পরীক্ষা ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের দাবি করেন। রাজউক জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও পরিদর্শন চলছে; নতুন ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল মানদণ্ড অনুসরণের কথা বলা হলেও বাস্তবায়নে মালিক-পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের সময় শিশু হাসপাতালসহ একাধিক স্থানে আতঙ্ক ও ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। ফলে রোগী চিকিৎসাধীন থাকলে ভূমিকম্পে সময়মতো সুরক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়ার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও পুরনো ভবনের অবস্থার প্রেক্ষিতে, বিশেষ করে বড় কম্পন হলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়ে গেছে, যা নগরায়নের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরে।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম— ‘২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে’

পিলখানা হত্যাকাণ্ড (২৫–২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯) নিয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র‌্যাব–পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনজন সংবাদমাধ্যমকর্মী। কমিশন বলেছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তা ঘটনাটিতে সরাসরি ভূমিকা রাখেন। তাই নতুন করে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণা শেষে জামায়াত প্রার্থীর বাড়িতে সালাউদ্দিন আহমদ

১১ মাসের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কমিশনের সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ওই হত্যাকাণ্ডে মোট ১৭ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে শেখ হাসিনা, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে। সূত্র দাবি করে, শেখ হাসিনার ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয় এবং সেনা পাঠাতে বিলম্ব করায় হত্যাকারীরা পালানোর সুযোগ পায়।

তদন্তে ভারতের সংশ্লিষ্টতার নানা প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে—হিন্দি ভাষায় কথা শোনা, ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের অস্বাভাবিক আগমন–বহির্গমন, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ইত্যাদি।

এ ছাড়া ৩০ জনের বেশি সামরিক, পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগ এসেছে, যার মধ্যে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, লে. জেনারেল (অব.) সিনা ইবনে জামালী, র‌্যাব–পুলিশের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, র‌্যাব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রাখেন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করেন।

সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও কমিশন প্রশ্ন তোলে। বলা হয়, লাইভ প্রচার, টক শো ও যাচাইবিহীন তথ্য প্রচার পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করে তোলে।কমিশন সুপারিশ করেছে—ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনঃতদন্ত, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু এবং পুরো প্রতিবেদন সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করার।

নিউ এজ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত আজকের দৈনিকের প্রধান শিরোনাম— ‘ফেব্রুয়ারি ৮ থেকে ১২-এর মধ্যে নির্বাচন হতে পারে’

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় গণভোট আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী বছরের ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ৭ ডিসেম্বর কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার পর দুই–তিন দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

তিনি আরও জানান, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে—বর্তমান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার পরিবর্তে সময় হতে পারে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: ঢাকার ২১৫ বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন সভাপতি নিয়োগ, দেখুন তালিকা

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, নির্বাচন কমিশন দুটো ভোট আয়োজনের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার প্রশংসা করেন এবং জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভোটারদের জন্য ব্যাপক নাগরিক ও ভোটার শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা নির্বাচন ও গণভোট—দুটো বিষয়ই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের আজকের আলোচিত খবর— ‘এককভাবে ভোট করছে না কোনো দলই’

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই কোনো না কোনো জোট বা নির্বাচনি সমঝোতার দিকে ঝুঁকছে। কোনো দলই এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি দেখাচ্ছে না। যারা এখনো জোটে যায়নি, তারাও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জোটভুক্ত হলেও দলগুলোকে নিজেদের মার্কায়ই ভোটে অংশ নিতে হবে।

বিএনপি বৃহৎ জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ, জমিয়ত, ১২-দলীয় জোট, বিএনপি-সমমনা বিভিন্ন দলসহ অন্তত এক ডজন সংগঠনকে নিয়ে এই জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিএনপির কার্যক্রম এখন দোয়া ও সমাবেশকেন্দ্রিক।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীও আটটি ইসলামপন্থি দলকে নিয়ে নির্বাচনি সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তারা একে জোট নয়, সমঝোতা বলছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা নতুন দল এনসিপি এখনও কোনো জোটে না গেলেও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে না বলে জানিয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত—উভয় পক্ষকেই তারা পর্যবেক্ষণ করছে। আদর্শগত মিল থাকলে যুগপৎ যাত্রার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে দলটি।

এদিকে নয়টি বামপন্থি, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক দল মিলে ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি বৃহৎ বামজোট ঘোষণা করেছে। যুগপৎ আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচন—উভয় ক্ষেত্রেই একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

জাতীয় পার্টির দুই অংশ—মঞ্জু ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে ১৬ দলীয় নতুন জোট গঠনের প্রস্তুতি চলছে, যার সম্ভাব্য নাম জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট।

এ ছাড়া ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির নেতৃত্বে ১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটও পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং তারা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।