নির্বাচন নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ AM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১১:১৫ AM

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। কত দ্রুত সংস্কার হয় তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারাই (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, যদি আমাদের ইচ্ছা মতো দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। (এমন বিশৃঙ্খলা যেখানে) মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকার মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। ড. ইউসূস বলেন, বেটার (ভালো) একটি আপেক্ষিক শব্দ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতাকে ন্যায়সংগত বলে উপস্থাপন করছে। এ বিষয়ে বিবিসি ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেন।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আদালত আছে, আইন আছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। আপনি কেবল বিবিসির প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বসে থাকবেন না, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন এবং দেখুন আইন কীভাবে কাজ করে।’
তিনি আরো বলেন, শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এরপর অর্থনীতি। সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া এটি এক ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। এটা এমন কিছু যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ানক টর্নেডো হয়েছে এবং আমরা এখন টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”