হবিগঞ্জে সয়াবিন তেল নিয়ে তেলেসমাতি
- হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ PM , আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ AM

রমজান মাস সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সয়াবিন তেল নিয়ে আবার তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। এক মাস ধরে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সহজে মিলছে না সয়াবিন তেল। মিললেও অনেক ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের সংকট দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি দাম।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিদিনই ঘটছে বাদানুবাদ। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই তেল বিক্রি না করে মজুদ করছেন রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির জন্য। ক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের সঙ্গে চিনিগুঁড়া চাল, ময়দা, লবণ, ডালসহ অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছে ব্যবসায়ীরা। অন্য পণ্য না নিলে বিক্রেতারা শুধু সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন না। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
নবীগঞ্জ পৌর শহরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুদিদোকানের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দোকানে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। যেসব দোকানে তেল পাওয়া যায় তারা ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি করেন। কোনো কোনো দোকানে ১ লিটার তেলের বোতল নেই। শুধু আছে ৫ লিটারের বোতল, তা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বই ও শিক্ষকের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে শেরপুরের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের মাতৃভাষা
অথচ সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি করার কথা।
পৌর এলাকার আবদুল করিম নামের এক ক্রেতা জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে ডিলাররা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তেলের সংকট ও দাম বেড়েছে। এ ছাড়া চাল-ডাল-ময়দাসহ অন্যান্য পণ্য অবিক্রিত থাকায় তেলের সঙ্গে সেসব পণ্য নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আবদুল মন্নান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আসন্ন রমজানের আগে কৌশলে তেলের সংকট তৈরি করে আবারও মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে, বোতলের গায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিয়েও অনেক জাগায় তেল মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে তেলের সংকট দেখা দেয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি।’
আরও পড়ুন: ইসলামে রোজা কত প্রকার
এদিকে রমজানের আগেই বাজারে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন এবং দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।