সারা দেশে বন্ধ হলো ট্রেন চলাচল
রেলের আহবান প্রত্যাখ্যান করে কর্মবিরতি শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ AM , আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ AM

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেল বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে রাত ১২টা পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি রানিং স্টাফরা।
এর ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। রানিং স্টাফের মধ্যে আছেন-ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা রেল ভবন থেকে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারিনি। রেল চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।
তবে পশ্চিমাঞ্চল জোনের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী নেতারা জানিয়েছেন, রাত ১২টার আগের সিডিউল ট্রেন ছেড়ে গেছে। যাত্রীদের স্বার্থে সেগুলো গন্তব্যে যাবে। তবে রাত ১২টার পরে শিডিউলের কোনো ট্রেন চালাচ্ছেন না তারা। একই কথা জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চল রেলের আন্দোলনরত রানিং স্টাফ নেতারা।
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে যেসব ট্রেন রাত ১২টার পর প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব ট্রেনের যাত্রীরা।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় ট্রেন চলাচল বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানালেও দাবি আদায়ে অনড় আছে কর্মসূচি ঘোষণা করা বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।
সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়, যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত। এসব সুবিধা সরকার না দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের।