‘এক বছরে ভুল তথ্য ছড়ানো বেড়েছে ৫২ শতাংশ’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ PM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ PM
নির্বাচন, আন্দোলন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও দুর্যোগ মিলিয়ে ২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের জন্য ঘটনাবহুল। এ সময়ের মধ্যে ভুল ও অপতথ্যও বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। বেশির ভাগ ভুল তথ্য ছড়ানো হয় রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে। একক ব্যক্তি হিসেবে বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে।
এ খবর জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটি ‘২০২৪ সালের ভুল তথ্যের পরিসংখ্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দেশের গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুল তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন করে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৯১৯টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগের বছর শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯১৫টি ভুল তথ্য। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৫২ শতাংশ বেড়েছে ভুল তথ্য ছড়ানো।
সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্যের প্রচার দেখা গেছে গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিক তথা জুলাই-সেপ্টেম্বরে। এ সময়ে শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যের সংখ্যা ৮৪৭টি। আগস্টে সর্বোচ্চ ৩৮৬টি ভুল শনাক্ত করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। গত বছর ফেসবুকে ২ হাজার ৩৩০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ইউটিউব (৫৬৫টি), টিকটক (৫০৯টি) এবং এক্স বা সাবেক টুইটার (২০১টি)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়া গত বছর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত প্রতিবেদনে ১৫১টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
একক ব্যক্তি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছড়ানো সবচেয়ে বেশি, ২০৮টি ভুল তথ্য শনাক্ত হয়। এই তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে নিয়ে ছড়ানো ১১৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত হয়।
গত বছর বাংলাদেশকে নিয়ে ১৮১টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত হয়, যার মধ্যে ১১৮টি ভারত থেকে আর ৬৩টি বাংলাদেশ থেকে ছড়ানো হয়। শুধু আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ১১৩টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য ছড়ানো হয়। এক্সে আগস্ট–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ছড়ানো অপতথ্যগুলো দেখা হয়েছে অন্তত ২০ কোটি বার।