থানা থেকে আ.লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
গাজীপুরে আটকের পর থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল সিকদারকে ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জামায়াত নেতারা। একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুলকে আটক করে।
শফিকুল ওই ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলে। আটকের পর জামায়াতের ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে যান এবং শফিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।
সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল বারী থানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দল করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। দল করার কারণে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এ জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই। প্রত্যেক নাগরিকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সেজন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার কথা যুক্ত হলো পাঠ্যবইয়ে
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।’
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ সময় জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানার সামনে জড়ো হন।’
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় আ. লীগের এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষের হামলা, আহত ৮
২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আটক শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।